অনলাইন ক্লাসের সুবিধায় ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে দেওয়া হবে ট্যাব

অনলাইন ক্লাসের সুবিধায় ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে দেওয়া হবে ট্যাব

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : করোনার জেরে অনেকদিন বন্ধ স্কুল, কলেজ। তার ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভরসা অনলাইন ক্লাস। তবে যে সমস্ত পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়, সেই সব পড়ুয়াদের কাছে নেই স্মার্টফোন। বাধ্য হয়ে তারা ক্লাসে যোগ দিতে পারছে না। এবার সেই সব পড়ুয়াদের জন্য কল্পতরু রাজ্য সরকার। অনলাইন ক্লাস করে এমন ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে একটি করে ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সরকারি কর্মী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

    রাজ্যের স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে সবুজসাথী প্রকল্প। বিনামূল্যে দেওয়া হয় সাইকেল। এছাড়াও বই, খাতাও দেওয়া হয়। সঙ্গে রয়েছে মিডডে মিল। তবে এবার অভিনব সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের ৯ লক্ষ পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে ট্যাব। তাতে কারও বাড়িতে স্মার্টফোন না থাকলেও সে অনায়াসেই করতে পারবে অনলাইন ক্লাস। এছাড়াও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে ট্যাব দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস করানো সম্ভব হবে। করোনা পরিস্থিতিতে এখনও কবে স্কুল চালু হবে, তা নিয়ে এখনও দোলাচল রয়েছে। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এখনও ক্লাস শুরু নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া যায়নি। আবার এদিকে অর্থনৈতিক সমস্যা অনলাইন ক্লাসও করতে পারছে না বহু ছাত্রছাত্রী। তাই এই আবহে রাজ্য সরকারের ট্যাব দেওয়ার ঘোষণায় বেজায় খুশি পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা।

    তবে এই ঘোষণাকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক আকচাআকচি যে শুরু হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ, আগামী বছরই নির্বাচন। তার আগে ট্যাব দেওয়ার ঘোষণার মাধ্যমে রাজ্য সরকার ভোটবাক্সকে আরও শক্তিশালী করে তুলল বলেই দাবি বিরোধীদের। যদিও সে বিষয়ে একেবারেই কান দিতে নারাজ রাজ্য সরকার। কারণ তাদের দাবি, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে, এদিন রাজ্যবাসীকে স্বস্তি দিয়ে আরেকটি বড়সড় ঘোষণা করেন রাজ্য সরকার। অতিমারী পরিস্থিতিতে কমল বেসরকারি ল্যাবে আরটি-পিসিআর টেস্টের খরচ। এবার থেকে মাত্র ৯৫০ টাকাতেই করা যাবে পরীক্ষা। তার ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত যে যথেষ্ট উপকৃত হবেন, তাতে কোনও দ্বিমত নেই।