ওড়িশার বিদ্যালয়ের অনুকরণে রাজনগরে জেলার প্রথম ওয়াটার বেল চালু

 

     

     

    খান আরশাদ, বীরভূম:

    ক্ষুদে পড়ুয়াদের ডিহাইড্রেশন রুখতে রাজনগরের খাসবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হল জেলার প্রথম ‘ওয়াটার বেল’ প্রকল্প।
    দিন দিন বাড়ছে তাপপ্রবাহ। প্রচন্ড এই তাপপ্রবাহে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচন্ড গরমে বাড়ির বাইরে বেরোনো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে যাতে কোনো রকম শারীরিক সমস্যার মধ্যে না পড়ে, সেই লক্ষ্যেই বিদ্যালয়ের মধ্যে ওয়াটার বেল প্রকল্প শুরু করা হল।


    প্রচন্ড গরমে শরীরের জলের কোনরকম ঘাটতি হলেই ডিহাইড্রেশন দেখা যায়।আমাদের শরীরের ৬০ শতাংশই জলীয় পদার্থ। শরীরে জলের অভাব হলেই বিপাকীয় প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে। প্রচন্ড গরমে শরীর থেকে ঘাম নির্গত হওয়ার ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে আসে। পাশাপাশি মল-মূত্র ত্যাগ করার সময়ও জলের পরিমাণ কমে যায়। শরীরে এই জলের ঘাটতি সময় মতো পূরণ না হলেই ডিহাইড্রেশন দেখা যায়। আর প্রচন্ড গরমে ডিহাইড্রেশন রুখতে ঘন ঘন জলপানের প্রয়োজন হয়। সেই লক্ষ্যে স্কুলের ক্ষুদে পড়ুয়ারা যাতে নির্দিষ্ট একটি নির্দিষ্ট সময়ে জল পান করার সুযোগ পায়, সেই লক্ষ্যেই বীরভূমের রাজনগর ব্লকের খাসবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদরত আলী খানের উদ্যোগে এই বিদ্যালয়ে ওয়াটার বেল চালু হল।


    বিদ্যালয় চলাকালীন প্রতি একঘন্টা অন্তর ওয়াটার বেল বাজবে। বেল বাজলেই প্রতিটি শ্রেণীকক্ষের বাচ্চারা নির্দিষ্ট জায়গায় এসে জলপান করবে। যাতে এই গ্রীষ্মে বাচ্চাদের শরীরে জলের কোনোরকম ঘাটতি না হয়। এই সুঅভ্যাসের ফলে বিদ্যালয়ের সাথে সাথে বাড়িতেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর তারা জলপান করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদরত আলী খান।
    তিনি জানান ভিন রাজ্যে বিদ্যালয়ে এই ওয়াটার বেল চালু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এটা দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ বিদ্যালয়ে এই প্রকল্পটি চালু করার কথা তার মাথায় আসে।
    বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা তাঁকে এ বিষয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন প্রকল্পটি চালু করার বিষয়ে।
    জেলার মধ্যে এই প্রথম কোনো বিদ্যালয়ে ওয়াটার বেল চালু হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
    এই বিদ্যালয়ের ১২৩ জন খুদে পড়ুয়ার নিয়মিত জলপানের এই অভ্যাস গড়ে উঠলে তা তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত লাভদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।