ট্যাংরায় এখনও জ্বলছে গোডাউনের আগুন। সারা রাত কাজ করেছেন দমকল কর্মীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা :ট্যাংরায় এখনও জ্বলছে গোডাউনের আগুন। সারা রাত কাজ করেছেন দমকল কর্মীরা। আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে এলাকা। ভোরের দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে এলেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন এখনও করা সম্ভব হয়নি।

    কালো ধোঁয়ার প্রকোপ কমেছে এলাকায়। এখন ধীরে ধীরে বাড়ছে সাদা ধয়ার প্রকোপ। বেশ কিছু জায়গায় এখনও জ্বলছে পকেট ফায়ার এমনটাই জানা যাচ্ছে এখনও। এই মুহূর্তে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন আগুন নেভানর কাজ করছে। সঙ্গে রাখা আছে আরও ১২টি ইঞ্জিন। এই ১২টি ইঞ্জিন মূলত জলের উৎস হিসেবে কাজ করবে বাকি ৮টি ইঞ্জিনের জন্য।

    জানা গেছে যে পকেত ফায়ারগুলি পুরপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব নয়। দাহ্য পদার্থগুলি সম্পূর্ণ পুরে না যাওয়া অবধি নেভানো যাবে না এই পকেট ফায়ার। এর অন্যতম আরেকটি কারণ হল আগুনের উৎসমুখ অবধি পৌছাচ্ছেনা জল। ভাঙা টিনের শেডের নিছে রয়েছে আগুনের উৎস। এলাকার দেওালের ভেতরে ধুকে নির্দিষ্ট ফায়ার পকেটে সরাসরি জল না দেওয়া হলে এগুলি নেভানো সম্ভব নয়। এলাকায় গলি অত্যন্ত সরু হওয়ায় দমকলের মাত্রও ৫টি গাড়ি একদম কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। আরও ৩টি গাড়ি একটু দূরে ব্যাকআপ হিসেবে রয়েছে। আসেপাসের এলাকায় বিভিন্ন গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আরও ১২টি ইঞ্জিন।

    নগরপাল বিনিত গোয়েলের আসার সম্ভাবনা রয়েছে ঘটনাস্থলে। একই সঙ্গে কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমেরও আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আসবেন মূলত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রয়েছে কীনা তা দেখতে। যেসব মাউশকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের খোজখবর নেবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

    ঘটনাস্থলের আশেপাশের ৩টি বাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও কাহ্লি করে দেওয়া এই বাড়ি গুলি এই মুহূর্তে কী অবথায় রয়েছে তা বিশেষজ্ঞরা না এলে বোঝা সম্ভব নয়। তবে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে বাড়ির বাসিন্দাদের এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং বর্তমানে যা অবস্থা তাতে এই বারিগুলিতে থাকা সম্ভব নয়। আগুনের কালো ধোঁয়া এবং আগুন নেভার পরের সাদা ধোঁয়ায় ছেয়ে রয়েছে এলাকা। এরফলেই ঘটনাস্থলের পাশের বাড়িগুলিতে এই মুহূর্তে থাকা সম্ভব নয়। এই বাড়িগুলির থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের নিকটবর্তী কিছু ক্লাব, মাদ্রাসা এবং অন্যান্য জায়গায় রাখা হয়েছে। এই নাগরিকরা সকলে সবরকম নাগরিক পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতেই বেশ কিছু আধিকারিকের আসার কথা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।

    শনিবার আগুন নেভানোর কাজ চলাকালীন চারজন দমকল কর্মীর অসুস্থ হয়য়ে পড়েন। ধোঁয়ায় তাঁদের স্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাদেরকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও এদের সকলকেই সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও দমকল কর্মীর গুরুতরভাবে আহত হননি।দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, ফায়ার অডিট নিয়মিত হয়। হয়ত কলকাতার কোনও কোনও অংশে এই অডিট করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে দমকল আধিকারিক অথবা কর্মীদের বাধার মুখেও পড়তে হয়। তা সত্ত্বেও তারা চেষ্টা করছেন এই গোটা শহরে অন্তত অগ্নিনির্বাপণের যে আগাম ব্যবস্থা তাকে সম্পূর্ণ করতে। কিন্তু এই মুহূর্তে দমকলের মূল লক্ষ্য আগুন নেভানো তাও জানিয়েছেন তিনি। আগুন নেভার পরে পুঙ্খানুপুঙ্খ্য তদন্ত করে দমকল খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে গাফিলতি কোথায় ছিল এবং এরম গাফিলতি আর কোথায় কোথায় রয়েছে।