রমরমিয়ে চলছিল গ্যাস সিলিন্ডারের বেআইনি কারবার

নিজস্ব প্রতিবেদক:- রমরমিয়ে চলছিল গ্যাস সিলিন্ডারের (Gas cylinder) বেআইনি কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পাত্রসায়র থানার পুলিশ। অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও ৮ জন। পুলিশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৩৮০টি গ্যাস সিলিণ্ডার। ঘটনাস্থাল বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানা এলাকা। বেআইনিভাবে গ্যাস সিলিন্ডার কারবারের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওই ৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।  ধৃতদের আজ পাঠানো হচ্ছে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। পুলিশ (police) ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে পাত্রসায়র থানা এলাকার পাঁচপাড়া, নারায়াণপুর-সহ বেশ কিছু গ্রামে চুপিসারে চলছিল বেআইনি জ্বালানি গ্যাসের কারবার। গোপন সূত্রে এই খবর এসে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশের কাছে। এরপরেই পুলিশ ওই সমস্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক জ্বালানি গ্যাসের সিলিন্ডার উদ্ধার করেছে। চলে ধরপাকড়ও। এই বেআইনি কারবারের সাথে যুক্তের অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত ৮ জন বিভিন্ন এলাকায় ইচ্ছেমতো দামে গ্যাস সিলিন্ডারের অবৈধ কারবার চালাচ্ছিল। বড় গ্যাস থেকে গ্যাস বের করে ছোট গ্যাসে রিফিলিং করার কাজও করছিল এই চক্র। বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটরের (distributor) কাছে থেকে গ্যাস এনে চড়া দামে সেগুলি অন্যত্র বিক্রি করত ধৃতেরা। বিভিন্ন দোকান, ডেকোরেটার্রস ও গৃহস্থবাড়ির অনেকেই এই সমস্ত কারবারিদের কাছ থেকে গ্যাস কিনে নিত। এই কারবারে যুক্তরা নিজেদের দোকানে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস সিলিন্ডার মজুতও করে রাখত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই কারবারীদের সঙ্গে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরদের যোগসাজশ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কী ভাবে এতো পরিমাণে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করত কারবারীরা? এর পিছনে ডিস্ট্রিবিউটরদের একাংশের মদত রয়েছে বলেও মনে করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কারবারীদের কাছ থেকে ২৫০টিরও বেশি গ্যাস কানেকশনের বই পাওয়া গেছে। এই বই গুলি থেকে ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে গ্যাস সংগ্রহ করত অভিযুক্তরা, এমনটাই অনুমান করছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। উদ্ধার হওয়া ওই বইগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই কারবারীদের সাথে কোথায় কোথায় যোগাযোগ রয়েছে, আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারীরা।