অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বেঁচে গেল এক রত্তি শিশুর জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক:- চিকিৎসক নন, কিন্তু চিকিৎসকরা রোগী দেখার সময় তারা নানাভাবে সহযোগীতা করে থাকেন৷ এরা হলেন হাসপাতালের অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী৷ এবার ওই অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বেঁচে গেল এক রত্তি শিশুর জীবন। স্বল্প বেতনে যে অস্থায়ী কর্মীরা দিনরাত লাঞ্ছনা সহ্য করে হাসপাতালের রোগীদের পরিষেবা দিয়ে থাকেন, শুক্রবার একটি তিন বছরের শিশুর প্রাণ বাঁচিয়ে তারাই এখন সকলের নয়নের মণি। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর হাসপাতাল।বাড়িতে খেলতে খেলতে মাত্র তিন বছর তিন মাসের এক শিশুর নাকে ঢুকে যায় ন্যাপথলিনের বল। সেই অবস্থায় তড়িঘড়ি সন্তানকে নিয়ে বাবা মা ছুটে আসেন অশোকনগর হাসপাতালে। জরুরি বিভাগে আসতেই জানা যায় চিকিৎসক রাউন্ডে বেরিয়েছেন। শিশুর অবস্থা দেখে তাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন অশোকনগর হাসপাতলে থাকা তিন স্বাস্থ্যকর্মী। শিশুর নাকে ঢুকে যাওয়া ন্যাপথলিনের বল বার করতে উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগালেন তারা। একটি বিশেষ পদ্ধতিতে ন্যাপথলিনের বল বের করে শিশুটিকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিলেন হাসপাতালের অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ যদিও শিশুটির পরিবারের অনুরোধেই তাঁরা এ কাজ করেছেন৷ এরপর শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠতেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সাধুবাদ জানিয়ে কেঁদে ফেলেন শিশুটির মা।কম বেতনে বছরের-পর-বছর কাজ করছেন এই স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবুও তাদের জোটেনা ন্যূনতম সম্মান। লাঞ্ছনা গঞ্জনা সহ্য করেও দিনের পর দিন এভাবেই রোগীদের পাশে থেকে পরিষেবা দিচ্ছেন এই অস্থায়ী কর্মীরা। এদিন বাচ্চাটিকে বিপদ মুক্ত করে, প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এমন কথা বলেই কেঁদে ফেললেন অশোকনগর হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা।