|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল আন্দোলন। সাফল্য এল শ্রমিকদের ধর্মঘটে যাওয়ার পরই। শুক্রবার শ্রমিকদের দু’মাসের বকেয়া বেতন দিয়ে দিলো ঠিকাদারি সংস্থা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটু পরিচালিত ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়নের অভিযোগ, শ্রমিকদের তিন মাস ধরে মাইনে বন্ধ হয়ে রয়েছে। লকাডাউনের সময় ২১ মাসের মাইনে বাকি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারকে ১কোটি টাকার বেশি দিলেও শ্রমিকরা তা পায়নি ঠিকাদার সেই টাকা আত্মস্যাৎ করেছে।ইউনিয়নের দাবি, নায্য বেতনের দাবিতে ঠিকা শ্রমিকরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করে। স্মারকলিপি দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। দ্বারভাঙা বিল্ডিংয়ের গেট আটকেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এরপরেই গত বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ও ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলোর রান্না। মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার দুপুরের রান্না বন্ধ হয়ে যায়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। আশ্বাস দেওয়া হয় শুক্রবারই দু’মাসের বেতন দিয়ে দেওয়া হয়। ধর্মঘট তুলে ঠিকাদারি সংস্থাকে সেই সময় দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে। সেই মতো শুক্রবার দু’মাসের বেতন আদায় করতে সমর্থ হয় ইউনিয়ন। যদিও ইউনিয়নের দাবি আরও এক মাসের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে শ্রমিকদের।এ ছাড়াও লকডাউনের ২১ মাসের বেতন এখনো বাকি রয়েছে। ছাঁটাই হওয়া ৩ জন শ্রমিককে পুনর্নিয়োগ করা বাকি আছে। পিএফ-এর অধিকার অর্জনও এখনো বাকি। দ্রুত সেই দাবি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় ফের আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে শ্রমিকরা। ইউনিয়নের নেতা ও সিটুর কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সৌমজিৎ রজক বলেন, “প্রমান হল যে লড়ে দাবি আদায় করা যায়। যদি দাবি নায্য হয়, যদি লডার সাহস থাকে, যদি ইউনিয়নবদ্ধ হওয়া যায়। দাবি এখনও বাকি, লড়াইও বাকি। জিততে তো জিতবই।”