মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে চাঁচল থানায় গনডেপুটেশন জাতীয় কংগ্রেসের

নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁচলঃ ১৪ অক্টোবর, মালদহের জগন্নাথপুর ফেরীঘাটে নৌকাডুবী ঘটনায় চাঁচল-১নং ব্লক পঞ্চায়েত সভাপতি ওবাইদুল্লা চৌধুরীর উপর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে চাঁচল থানায় শ্মারকলিপি জমা করল জাতীয় কংগ্রেস। সোমবার মালদহের চাঁচল থানায় শতশত কংগ্রেস কর্মী ডেপুটেশন কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান থানা গেটের বাইরে। থানার দ্বারই নিয়ন্ত্রণ আনে এই বিক্ষোভের। এদিন বিক্ষোভ কে কেন্দ্র করে ভেতর থানায় মজুত ছিল বহু পুলিশ কর্মী। বিশিষ্টবর্গের নেতারা থানার ভিতরে শ্মারকলিপি জমা দিতে গেলে, মালদা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম থানার মাঠে তার বক্তব্যে বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকারকে ‘সরকার’ বলতে তিনি লজ্জাবোধ করেন।এই সরকার রাজ্যের গণতন্ত্রকে টুটি চিপে হত্যা করছে অনবরত।

    মমতা সরকার জেলা থেকে ব্লক নেতৃত্বকে লেলিয়ে জগন্নাথপুর নৌকাডুবীর ঘটনায় চাঁচল ১ নং ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

    তিনি জানেন না বিলুপ্তি সবার ঘটে। সিপিএমের জ্যোতিবসু ও বুদ্বদেব ভট্টাচার্য্যের বিলুপ্ত ঘটেছিল। মমতা সরকারেও বিলুপ্তি ঘটবে, সময়ের অপেক্ষা। মোস্তাক আলম আরোও বলেন, রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ারের নাম করে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। সেতু নির্মান না হওয়ায় জগন্নাথপুর ঘাটে তরতাজা মানুষ গুলির প্রান গেল। কেন? সেতু নির্মান করতে পারেনা। শুধু পুরোনো সেতুগলুলিকে নীল সাদা রঙ করতে মরিয়া কেন সরকার।

    যত দোষ নন্দঘোষ, দোষ করবে ওরা আর মিথ্যা মামলা আমাদের উপর। এভাবেই এদিন মোস্তাক আলম থানা চত্বরে তৃনমুলের ব্লক,জেলা নেতৃত্ব ও রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন।

    এদিন শ্মারকলিপি জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে থানা চত্বরে উপস্থিত ছিলেন, চাঁচল ও মালতীপুর বিধানসভার দুই বিধায়ক আসিফ মেহেবুব ও আলবেরুনী জুলকারনাইন। চাঁচল ১ নং ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ইন্দ্র নারায়ন মজুমদার ও স্থানীয় শত শত জাতীয় কংগ্রেসের কর্মীগন। কংগ্রেসের শ্মারকলিপি পেয়ে পুলিশ আধিকারিক সুকুমার ঘোষ বলেন, এ বিষয়ে আমার উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানবো। এই আশ্বাসে বিক্ষোভ সমাবেশ প্রত্যাহার করে কংগ্রেস।