|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : গভীর রাত পর্যন্ত ধৃত আইনজীবী সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাল পুলিশ। অনুব্রত মণ্ডলের মামলার বিচাকরকে হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগে সোমবার বর্ধমান আদালতের আইনজীবী সুদীপ্ত রায়কে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার রাতে মেমারির চিনুই গ্রাম থেকে তাঁর সহযোগী দীপক মুহুরীকেও আটক করে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে আসানসোল আদালত চত্বরে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত। খবর পেয়েই পুলিশ সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করে । প্রসঙ্গত, গত ২০ অগস্ট আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে লেখা হয়েছিল, গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দিলে বিচারকের পরিবারকে ‘গাঁজা কেসে’ ফাঁসানো হবে। সেই চিঠির প্রেরক হিসাবে পূর্ব বর্ধমানের এগজিকিউটিভ আদালতের আপার-ডিভিশন ক্লার্ক (ইউডিসি) বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ও সই ছিল।বাপ্পা প্রথম থেকেই বলে আসছেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানোর হয়েছে। হুমকি চিঠির তদন্তে গত বৃহস্পতিবারও বাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের দুই পুলিশকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদের পর বাপ্পা দাবি করেন, সুদীপ্ত রায় নামে বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবী দিন দুয়েক আগে তাঁকে আদালত চত্বরে হুমকি দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে বলা হয়েছিল , ‘‘তোর যা ব্যবস্থা করার হয়ে গিয়েছে। এ বার তোর চাকরি খাব।’’ বাপ্পা গোটা বিষয়টি বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসককে জানান। হুমকি চিঠির পিছনে সুদীপ্তেরই হাত রয়েছে তিনি দাবি করেন। শুক্রবার বাপ্পার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়। তার পরেই সোমবার সুদীপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।সোমবার গভীররাতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ বর্ধমান থানার পুলিশের সহযোগিতায় ধৃত আইনজীবী সুদীপ্ত রায়ের বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলে এই তল্লাশি।সুদীপ্তর মা অর্চনা রায় বলেন,‘‘আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। বাপ্পা আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।’’ প্রয়োজনে তাঁরা হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন।