পঞ্চায়েত ভোটের আগে জমি পরিষেবায় আরও নজর দিচ্ছে রাজ্য

নিজস্ব সংবাদদাতা: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে জমি পরিষেবায় আরও নজর দিচ্ছে রাজ্য। রাজ্য চাইছে, মানুষ সময় মতো জমি পরিষেবা পাক। অর্থাৎ মিউটেশন, কনভারশন প্রভৃতি আবেদন যাতে পড়ে না- থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এর নিষ্পত্তি হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম- দুই জেলাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে এক বৈঠক হয়েছে। ভূমি দফতরের এই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের ভূমি সংস্কার কমিশনার (এলআরসি) স্মারকী মহাপাত্র, রাজ্যের ডিএলআরএস রশ্মি কমল, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি প্রমুখ। ছিলেন দুই জেলার ভূমি আধিকারিকেরাও।ভূমি দফতরের বৈঠক হয়েছে? পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি মানছেন, ‘‘একটি বৈঠক হয়েছে। এটি প্রশাসনিক বৈঠক।’’ মিউটেশন, কনভারশন প্রভৃতি আবেদন কত এসেছে, কতগুলির নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে, কতগুলি পড়ে রয়েছে, বৈঠকে সে সব খতিয়ে দেখা হয়েছে বলেই প্রশাসনিক সূত্রে খবর। দুই জেলার পরিস্থিতিরই পর্যালোচনা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যের ভূমি আধিকারিকেরা। একাধিক মহল মনে করাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জমি পরিষেবা আরও মসৃণ করতে চাইছে রাজ্য। ব্লক থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত ভূমি দফতরের অফিসগুলিতে পরিষেবা নিশ্চিত করতে নজরদার কমিটি গড়া হয়েছে। সামগ্রিক নজরদারির ভার ন্যস্ত হয়েছে জেলাশাসকের উপরেই। ব্লক স্তরে ভূমি দফতরের পরিষেবা নজরদার কমিটির চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও, মহকুমাস্তরে কমিটির চেয়ারম্যান এসডিও, জেলাস্তরে কমিটির চেয়ারম্যান জেলাশাসক। নির্দিষ্ট সময় অন্তর বৈঠকে বসার কথা নজরদার কমিটির

    বিগত কয়েকটি প্রশাসনিক বৈঠকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজকর্ম নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুরুলিয়ার বৈঠকে এক আধিকারিককে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে তাঁকে সতর্ক করেছিলেন। একাধিক মহল মনে করাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্ষোভ স্বাভাবিক। কারণ, জমি সংক্রান্ত পরিষেবায় ত্রুটি- বিচ্যুতি থাকলে সাধারণ মানুষের রাগ- ক্ষোভ তৈরি হয় সরকারের উপর। তার প্রভাব পড়ে ভোটবাক্সে।জমি পরিষেবা যাতে মসৃণভাবে চলে, সেই জন্যই রাজ্যের ভূমি আধিকারিকদের এই জেলা সফর বলে মনে করছে একাধিক মহল। মিউটেশনের জন্য, কনভারশনের জন্য আবেদন করেও বসে থাকতে হয় দিনের পর দিন, সময় মতো মিউটেশন, কনভারশন না- হওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। যার জেরে অসুবিধায় পড়তে হয় অনেককেই। কিছু জায়গায় একাংশ আধিকারিক- কর্মীর মদতেই দালাল চক্রের রমরমা চলে বলে অভিযোগ। ভূমি রাজস্ব দফতরের কিছু অফিসের সামনের দোকানগুলিতে দালালদের ঠেক চলে। দুই জেলার ভূমি আধিকারিকদেরই অবশ্য দাবি, এখন আর ওই ধরনের সমস্যা নেই। সময় মতো আবেদনের নিষ্পত্তি হয়। আবেদন করে কাউকে দিনের পর দিন ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় না। ঘণ্টা তিনেক ধরে চলেছে এ দিনের ওই বৈঠক।