একজন আশা কর্মীর মনের কথা

হাসান লস্কর, নতুন গতি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : আমার সাবসেন্টার মেটেকোঁড়া জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালের অধীনস্থ । আমি একজন আশা কর্মী প্রতিদিনের মতো সকালে উঠে সরকারের দেওয়া পোশাকটি পরিধান করে আমার গ্রামের গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলা সহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা-বার্তা বলি। বিশেষত্ব মা ও শিশুর যত্ন নেওয়ার বার্তা দিতে হাজির হই দুয়ারে দুয়ারে। কোথাও আয়রন ট্যাবলেট,কোন বাড়িতে জ্বর,সর্দি, কাশি, ও শিশুরা কি ইঞ্জেকশন পাবে তা জানানো।

     

    প্রতিদিনে 30 থেকে 40 টি বাড়িতে যেতে হয়। জন্মনিয়ন্ত্র নিয়ে মায়েদের কে জানান দেয়া হয় । পরে বাড়িতে ফিরে আশা,ও সংসারের কিছু কাজ সারা। সপ্তাহে বুধবার যেতে হয় সাব সেন্টারে, যেখানে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের ইনজেকশন দিতে সহযোগিতা করা। মাসে এক দিন নিজ পঞ্চায়েতে মিটিয়ে যেতে হয়, যেখানে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনা হয়। হাসপাতালে রিপোর্ট জমা ও মিটিংয়ের জন্য আমাদেরকে যেতে হয়।

     

    প্রতিটি গ্রামে মাসে একদিন গর্ভবতী ও প্রসূতি অন্য দিনে কিশোরীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকে হাজির থাকতে হয়। প্রতিনিয়ত নিজের এলাকাধিন-পরিবার মনে করে তাদের সুখ দুঃখের ভাগিদার হিসেবে উপস্থিত থাকতে হয় । কোন মায়ের প্রসব যন্ত্রণা তাদেরকে নিয়ে যেতে হয় গ্রামীণ হাসপাতালে, দিন কিম্বা রাতে । নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে আমি এক আশা কর্মী “মা”