সুন্দরবনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরা বসানোর কাজ সমাপ্তির পথে

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :
রায়দিঘি রেঞ্জ ও বারুইপুর রেঞ্জ এর অধিন কুলতলি ফরেস্ট,বনি ক্যাম্প,নলগোড়া বিট, পিয়ালি বিটের এলাকাধিন কয়েক শত কিলোমিটার জুড়ে চলছে, বেশ কয়েক দিন ধরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরা বসানোর কাজ। প্রথম দিনে কুলতলি ফরেস্ট অফিস এলাকায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয় । হেড়োভাঙ্গা নয় নম্বর কোম্পারমেন্টে বনদপ্তরের উদ্যোগে ক্যামেরা  ট্যাপিং এর কাজ ১৬১ জোড়া ক্যামেরার সাহায্যে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা যাবে এমনই আশাবাদী বনদপ্তরের আধিকারিক মিলন কান্তি মণ্ডলের। যে সমস্ত জায়গায় অধিক পরিমাণে বাঘ বিচরণ করে সেই সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে পাতা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন মেগা পিকচার ক্যামেরা। এই ক্যামেরাগুলির বিশেষত্ব দিনের বেলায় ভিডি সহ ছবি আসবে রাতে উঠবে স্টিল ছবি ১৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সংরক্ষিত বনাঞ্চল। চার দিন ধরে এই  ক্যামেরা বসানোর কাজ চলবে আজ তৃতীয় দিন পড়ল থাকবে ৩৫ দিন। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাঘ গণনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট মিলতে পারে এমনি আশাবাদী  বনদপ্তরের আধিকারিকদের। দীর্ঘ সময়ের স্টিল সহ ভিডিও ছবি  এই ক্যামেরায় SD মেমোরি কার্ডে সংরক্ষিত থাকবে ১৬১ জোড়া ক্যামেরা পাতার কাজ প্রায় সমাপ্তের পথে। একটু শব্দ কিম্বা যে কোন প্রাণীর ছবি ধরা পড়বে এই ক্যামেরায়। এরই সুবাদে বাঘ সহ অন্যান্য বিলুপ্ত পশুদের  তদারকি করা যাবে ও বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করার জন্য এমনি উদ্যোগ বনদপ্তরের। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সংরক্ষিত বনাঞ্চল ১৬১৫  কিলোমিটার। যেখানে বিগত বছরে ২৭ বাঘের  সংখ্যা  এ বছরে বাড়বে এমনি আশাবাদী বনদপ্তরের কর্মকর্তাদের। যে যায়গা গুলিতে বেশি বাঘ বিচরণ করে সেখানে পাতা হচ্ছে ক্যামেরা। এই ক্যামেরা গুলির উপর বনদপ্তরের কর্মীরা সদা সর্বদাই নজর রাখছেন।