BJP শাসিত গোয়ায় ভোট-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছে তৃণমূল

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই গোয়া যেতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাহ্, কোনও ছুটি কাটাতে নয়, বরং ত্রিপুরা, অসমের মতো এবার BJP শাসিত গোয়ায় ভোট-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছে তৃণমূল। গোয়ার মাছের কারি আর বাঙালির মাছের মাছের ঝোলের মেলবন্ধন ঘটাতে চাইছে এ রাজ্যের শাসক দল। সামনের বছরই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটেই বিজেপির সঙ্গে চোখে চোখ রাখতে চাইছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা I-PAC -এর ২০০ জন সদস্য গোয়ায় তৃণমূলের জন্য মাটি প্রস্তুত করতে কাজে লেগে পড়েছে।

    সব ঠিকঠাক এগোলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট হতে চলেছে গোয়ায়। আর সেই ভোটেই তৃণমূল পূর্ণশক্তিতে লড়তে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে, এ বার কি গোয়াতেও ‘খেলা হবে’? উপকূলীয় রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে এমন খবরের মধ্যেই মুখ খুলেছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ওদের আসতে দিন”।

    শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই তৃণমূল সাংসদদের একটি দল যাবেন গোয়ায়। তৃণমূলের জন্য পরিস্থিতি কতটা অনুকূল, তা পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁরা। এরপর গোয়ায় যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, মমতার আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়া যাবেন বলে সূত্রের খবর।

    ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় জোরকদমে সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত সেই রাজ্যেও তৃণমূল নেতাদের সক্রিয়তা নজর কেড়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এহেন পরিস্থিতিতে কোনও সংগঠন না থাকা গোয়ায় কেন হঠাৎ লড়তে চাইছে তৃণমূল, তা নিয়ে সন্দিহান অবশ্য অনেকেই। গোয়া বিধানসভায় ৪০ আসন রয়েছে। ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ১৭ ও বিজেপি ১৩ আসনে জিতলেও শেষমেশ সরকার গঠন করে বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসের সংগঠনের দিকেও নজর রয়েছে তৃণমূলের। এমনকী বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গেও তৃণমূলের আলোচনা এগিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। দুর্বল কংগ্রেসের সংগঠনকেই সেক্ষেত্রে নিজেদের অনুকূলে এনে সমুদ্রপারের রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করতে পারে বাংলার শাসক দল।

    সূত্রের খবর, ২০২২ সালের শুরুতে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তৃণমূল। টিকিট দেওয়া নিয়েও সম্ভাব্য আলোচনা হয়ে গিয়েছে। তবে গোয়ার নির্বাচনী ময়দানে আরেকটি রাজনৈতিক দলের যোগদান নিয়ে চিন্তিত নন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত বলেন, ‘সবাই আসুক, সবাই গোয়াকে ভালোবাসে’।

    সূত্রের খবর, দু’বারের কংগ্রেস বিধায়ক অ্যাঞ্জেলো ফার্নান্ডেজ-সহ আরও কয়েক জন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তালিকায় রয়েছেন আরও এক বিধায়ক। তিনি বিধায়ক লুইজিনহো ফালেইরো। তবে, এবারই প্রথম নয়, এর আগে ২০১২ সালে গোয়ায় নিজের জমি শক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল তৃণমূল। ২০১২ সালে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ড. উইলফ্রেড ডি সুজা সে রাজ্যে তৃণমূলের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। কিন্তু পরবর্তীকালে বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে ব্যর্থ হন তিনি।