উপনির্বাচনের দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সরাসরি হাজির হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই উপনির্বাচন নিয়ে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার উপনির্বাচনের দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সরাসরি হাজির হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। এই দলে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। হাতে আর বেশি সময় নেই। ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনে জিতে আসতে না পারলে আর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী নিজে পরাজিত হয়েছিলেন একুশের নির্বাচনে। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারতে হয়েছে তাঁকে। তাই উপনির্বাচনে জিতে আসতে না পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী পদ সংকটে পড়বে। তাই ফের কমিশনের দ্বারস্থ রাজ্যের শাসকদল।

    এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌নির্বাচনের দাবি নিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবকে ডেপুটেশন দিয়েছি। অবিলম্বে রাজ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন করাতে হবে। দুটো বিধানসভা নির্বাচন আর পাঁচটিতে উপনির্বাচন। আমাদের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছিল দিল্লিতে। অবিলম্বে ভোট করতে চাওয়া হয়েছিল। আজ আমরা দেখা করলাম আবার। এই বার্তা দিতে, যে ৩ মাস হয়ে গেলেও এখনও রাজ্যবাসীর কাছে নির্বাচন নিয়ে কাজ কতদূর এগোল, তা জানানো হল না৷ আমরা জানতে চেয়েছি।’‌

    নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করাতে কতটা প্রস্তুত হয়েছে, সংবিধান নিয়ম মেনে সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন কতটা ভূমিকা পালন করেছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের দফা কমিয়ে দিতে। তখন নির্বাচন কমিশন তা মানেনি।তাই পার্থর অভিযোগ, ‘‌যখন করোনা উচ্চশিখরে ছিল তখন ৮ দফায় ভোট করা হলো। এখন করোনাভাইরাস আমাদের রাজ্যে কমে এসেছে। আক্রান্তের শতাংশ কমে এসেছে। এই অবস্থায় করোনা বিধি মেনেই ভোট করানো হোক।’‌

    কেন এখন উপনির্বাচন করা হচ্ছে না?‌ এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন আধিকারিকের সামনে। রাজ‍্য করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই অবিলম্বে নির্বাচন করা উচিত বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।। এই বিষয়ে পার্থর অভিযোগ, ‘‌সিইও জানাচ্ছেন কিছু অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সজাগ হচ্ছে না৷ যারা গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলছেন, তারা ঢিলেমি করছেন৷ কমিশন যেন প্রভাবিত না হন, সেটাই আমরা বলেছি৷ আমরা চাই খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করুন কমিশন।’‌