|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: অঙ্কুরেই বিনষ্ট তারা কি ধরতে পারবে আগামীতে দলের হাল !সাময়িক পদের জন্য খেললো তারা জেলা সভাপতির সাথে নতুন চাল !!
উপরের দুটো লাইন পড়ে হয়তো মনে হবে যে কি হলো। হ্যাঁ তেমনি কিছু হয়েছে। আর যারা করেছে বা করতে চলেছে তাদের সমন্ধে আপনাদেরও জেনে। রাখা উচিৎ যে – যারা সবেমাত্র রাজনীতিতে পা রাখতে গিয়ে দলের সাথে কতো বড় বেইমানি করতে গিয়ে ছিলো। তাও আবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি – *মাননীয় অজিত মাইতি বাবুর* সাথে।
আমাদের জেলায় সোশ্যাল মিডিয়ার শাখা সংগঠন হিসেবে প্রথম সারিতে মোট তিনটি সংগঠন কাজ করে। তারা হলো *গ্রাসরুট*, *অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া সাপোর্টার কমিটি* আর *ফ্যাম* । এদের মধ্যে সারা জেলা ব্যাপী সব থেকে সদস্য বেশি গ্রাসরুটের। তার পরে ফ্যাম তার পরে অন্যান্য। আবার এই তিনটি শাখা সংগঠনের মধ্যে রাজ্য সরকার দ্বারা রেজিস্ট্রিকৃত সংগঠন একমাত্র গ্রাসরুট। আমাদের জেলা নেতৃত্ব বা ব্লক নেতৃত্ব এইসব শাখা সংগঠনের সাংগঠনিক নামের কথা না জানলেও তাদের কর্মীদের সবাইকে সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী হিসেবেই চেনে। ফ্যাম সংগঠন গত কয়েক মাস আগে মেদিনীপুর শহরে কয়েকজন সদস্য জেলা সভাপতির সাথে যোগাযোগ করে একটা অনুষ্ঠান করে এবং ঐ সভাতে জেলা সভাপতি নিজে উপস্থিত হয়ে এগিয়ে চলার নির্দেশ দেন। তেমনি গ্রাসরুটও চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, কেশপুর, পিংলা, পাঁশকুড়া, দাসপুর ইত্যাদি জায়গায় ব্লক নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়ে নিজেদের সামর্থ্য মতো অর্থ ব্যয় করে ছোট ছোট সভা করে দলের স্বার্থে। আমাদের জেলায় যতজন ছেলে সোশ্যাল মিডিয়াতে কর্মী হিসেবে কাজ করে তাদের বেশির ভাগ উপরিউক্ত তিনটি সংগঠনের মধ্যে যেকোনো একটির সাথে যুক্ত। বাকি অনেক কর্মী আছে যারা কোনো সংগঠনের সংস্পর্শে না এসেও দলের জন্য প্রচার করেই চলছে। এই ভাবে গত কয়েক বছর অর্থাৎ প্রায় দুই বছর ধরে চলে আসছে। আমাদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বা ব্লকের নেতৃত্বেরও সেরকম সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ভ্রুক্ষেপ ছিলো না। গত লোকসভা নির্বাচনের পরে দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে সারা রাজ্য ব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। তৈরি হয় *গ্রিভেন্স সেল*। তার পরে জেলায় গুরুত্ব বাড়ানোর কথা বলেন। গত কয়েকদিন আগে রাজ্যের ২৯৪ জন বিধায়ককে নিয়ে কলকাতায় নেত্রী আলোচনায় বলেন যে প্রতিটি ব্লকে একজন করে সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীকে দায়িত্ব দিতে। যারা ওই ব্লকের সোশ্যাল মিডিয়া দেখভাল করবেন।
ঘটনা হলো, গত কয়েকদিন আগে আমাদের জেলার কয়েকজন ফ্যাম কর্মী আমাদের জেলার সভাপতি অজিত মাইতি বাবুর সাথে দেখা করেন। দেখা করে বলেন – আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছি। আমরা জেলার সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী। দিদি কয়েকদিন আগে নির্দেশ দিয়েছেন যে প্রতিটি ব্লক থেকে একজন করে সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীদের দায়িত্ব দিতে। তাই আপনি আমাদের একদিন সময় দিন যাতে আমরা সবাই একসাথে উপস্থিত হয়ে আপনার কাছে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই সংগঠন তৈরি করতে পারি । আর আমাদের এই টিম তৈরি হয়ে গেলে আমরা সেই টিম নিয়ে আগামী বিধানসভার ভোটের জন্য লড়াই শুরু করে দেবো। আমাদের জেলার সভাপতি অজিত মাইতি বাবুও এক কথায় হ্যাঁ বলে দেন। তার কারণ সারা জেলা ব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের সেরকম ভাবে জেলার নেতারা চেনেন না। হয়তো এমনি মুখ পরিচিত থাকতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের সব থেকে ভালো করে চেনেন প্রতিটি ব্লকের ব্লক নেতৃত্ব। আর এই সুযোগ নেয় ফ্যাম। সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী (শুধুমাত্র ফ্যাম) এর কথা মতো অজিত মাইতি বাবু ও উনাদের সাথে বসার জন্য গতকাল বুধবার অর্থাৎ 17/07/2019 তারিখে মাদপুর পার্টি অফিসে বসার জন্য আহব্বান করেন। সেই মোতাবেক প্রায় 35 থেকে 40 জন কর্মী যারা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী পরিচয় দিয়ে *(অনেকেই ছিলেন যারা সোশ্যাল মিডিয়ার ধারে কাছেও নেই)* মাদপুরে উপস্থিত হয়ে আমাদের জেলার সভাপতির সাথে আলোচনা করে নেন। নিজেরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে একটা অস্থায়ী কমিটি তৈরি করে নেন। ওই সভাতে আলোচনা হয় এবং অজিত মাইতি বাবুও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আগামীতে ভালোভাবে কাজ করার জন্য আরও বেশি করে সহযোগিতা ও উৎসাহ দেন। সভা শেষে অজিত মাইতি বাবু প্রস্তাব দেন, ওই সমস্ত সোশ্যাল কর্মীদের জেলায় বসার ব্যবস্থা করে দেবেন। তাদের জন্য IT প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দেবেন। যে অস্থায়ী কমিটি তৈরি হয়েছে সেই কমিটিকে নিয়ে আগামী 15 দিনে পর আবার বসা হবে। সেই সভাতে নামেই লিস্ট তৈরি করে আমাদের জেলার পর্যবেক্ষক মাননীয় শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের মাধ্যমে রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তার পরে সবাই ফিরে আসেন।
যেটা সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীরা আশঙ্কা করেছিলো সেটাই ফ্যাম গোপনে করে ফেললো । অজিত মাইতি বাবুর কর্মীদের প্রতি সততার মনোবল কে হাতিয়ার করে উনাকেই ঠকানো হলো। যারা অজিত মাইতি বাবুকে কয়েকদিন আগে জানিয়ে ছিলো তারা শুধুমাত্র ফ্যাম সংগঠনের কর্মী। আর ফ্যাম কর্মীরাও ভালো করে জানেন যে এই জেলায় কারা কারা সোশ্যাল মিডিয়া তে সরাসরি দলের হয়ে প্রচার করেন বা কোন কোন সংগঠন দলের প্রচার করেন। তারা যেদিন প্রস্তাব দিয়ে ফিরে আসেন সেই দিন নিজেদের কিছু পেটুয়া ছেলেদের কাছে খবর রাখলো গোপনে। তারাই একমাত্র যাবে অজিত মাইতি বাবুর কাছে। যারা প্রস্তাব দিয়ে এসেছিলো তাদেরকে বলা হয়েছিল যে জেলার সবপ্রান্ত থেকে কর্মীদের ডাকতে। কিন্তু তারা তাদের যে পছন্দের সদস্যকেই ডেকেছে। যারা শুধুমাত্র ফ্যাম করেন। তারা তাদের বাকিদের কে বলেই দিয়েছে যে অন্য কেউ যেন না জানে। শুরুতেই তাদের পদের প্রতি এত লোভ। দুঃখের বিষয়, ওই সভার যারা প্রস্তাব দিয়েছিল তারা শুধু মাত্র নিজের কাকুর ছেলে, মামার ছেলে, পিসির ছেলে ইত্যাদি আত্মীয় দের কেই ডেকেছে। কারণ নিজের পদের জন্য নিজের আত্মীয় সমর্থন করতে ভালো পারে। দু একজন গোপন মারফৎ খবর পেয়ে পৌঁছালেও তাদের সেই কমিটিতে রাখা হয়নি। এমন দুজনের নাম রাখা হয়েছে তারা জানেও না যে সেদিন সবাইকে ডেকেছে। আবার কোনো ব্লক থেকে একজন তো কোনো ব্লক থেকে 5 জন। এমন কি ব্লক নেতৃত্ব দের কেও জানাই নি। যাদের দেখলাম ওই সভাতে , আমি ব্যক্তিগত ভাবেও তাদের জানি। একজন সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী হিসেবে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকা দরকার সেগুলোও নেই সেই কর্মীদের মধ্যে। সব থেকে মজার বিষয়, তারা চুপিসারে জেলা সভাপতি কে অন্ধকারে রেখে ফ্যাম যে সব সদস্য কে সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন তারা সোশ্যাল মিডিয়া বানান টাও লিখতে জানেনা। সেই চিঠিটি নিচে দিলাম দেখে নেবেন। যারা *SOCIAL* বানান টা কে *SOSIAL* বলে লিখেন তাও আবার জেলা কমিটির লিস্টে তাদের কাছে আর কি আশা করা যায়। এই কয়েকজন সদস্য নাকি পুরো জেলা ব্যাপী প্রচারে বিজেপিকে হারিয়ে একদম শেষ করে দেবে। যাদের অনেকের এখনো দলের প্রচার সমন্ধে সাধারণ জ্ঞান টুকু নেই । অনেকের আবার *টুইটার* একাউন্ট পর্যন্ত নেই। জানিনা তারা কিভাবে জেলার নেতা হতে দৌড়াচ্ছে। এই তো সবে শুরু। লজ্জা লাগে আপনাদের দেখে যে, আপনারা জেলা সভাপতিকেও ঠকাতে চলেছেন। সত্যি যদি আপনাদের সৎ ভাবনা থাকতো তাহলে নিজের গুটিকয়েক সদস্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সমস্ত কর্মীকে আহ্বান করে একসাথে উপস্থিত হতেন। কেন এত পদের লোভ ? আমার বাড়ি পিংলাতে কিন্তু আমি জেলার বিভিন্ন ব্লকের একনিষ্ঠ সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের চিনি। আপনারা যদি সত্যি জেলার নেতা হতে চাইছেন কেন তাহলে বাকিদের আমন্ত্রণ না করে শুধুমাত্র নিজের আত্মীয় কে সঙ্গে নিয়ে টিম তৈরি করে বিশাল বাহবার কাজ করে ফেলতেন না। যারা চুপিসারে গিয়েছিলেন তাদের আমি কয়েকটি নাম বলছি। দেখুন এদের আপনারা চেনেন কিনা।
কার্ত্তিক প্রহরাজ, দাসপুর ১
স্বাগত ব্যানার্জি – দাসপুর ২
খাঁন ভাই – ঘাটাল
সন্তু মোদক, দাসপুর
সুমন জানা – মেদিনীপুর
পলাশ রানা – ডেবরা
এ. কে. মুখার্জি – দাঁতন
দিগন্ত আলম – কেশপুর
শুভজিৎ সাঁতরা – চন্দ্রকোনা
রাজু শেখ রিয়াজ – গড়বেতা
সঞ্চিতা জানা – খড়গপুর
মির্জা সৈয়দুর বেগ – পিংলা
শপথ কুমার চক্রবর্তী – মেদিনীপুর
সৌরভ কোলে – কেশপুর
পাপিয়া চক্রবর্তী – ঘাটাল
অনির্বান মাহাতো – কলাইকুন্ডা
শেখ মাসুদ – পিংলা
মানসি সামন্ত – দাসপুর
সরবানি গুছাইত – দাসপুর
আরও অনেক নাম আছে যাদের লেখা সম্ভব হয়নি। এদের মধ্যে প্রত্যেকে সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত আর আপনারা মাত্র দুটি নাম রেখেছেন। আমি সেই দুজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের মধ্যে একজন জানেই না আর তার জন্য উপস্থিত হতে পারেন নি। একজন দিগন্ত আলম আর অন্যজন অনির্বান মাহাতো। অনির্বান মাহাতো আবার ফ্যাম সদস্য আর দিগন্ত আলম সরাসরি দলের প্রচার করেন। বাকিরা তো বাদ।
আমি জানার পরেই সাথে সাথে আমার ব্লক সভাপতি *মাননীয় শেখ সবেরাতি মহাশয়* সহ অন্যান্য ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারাও বলেন আমাদের কাছে খবর নেই। বিভিন্ন ব্লকের সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের সাথেও যোগাযোগ করি। তারাও বলেন এই বিষয় কেউ কিছুই জানেনা। সবার শেষে আমি অজিত মাইতি বাবুকে ফোন করে কথা বলি। উনাকে পুরো বিষয়টা বলি। উনি মন দিয়ে শুনেন। উনি নিজেও অবাক। উনি বলেন – আমি জেলার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের চিনিনা বলেই সবাইকে আমন্ত্রণ করতে বলেছিলাম কিন্তু এভাবে উপস্থিত হলো সেটা উনাকেও খারাপ লাগলো। উনি 21 শে জুলাই এর পরে পুরো জেলা থেকে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের ডেকে আবার পুনরায় বসবেন বলে কথা দিয়েছেন এবং সমস্ত শাখা সংগঠনকে আমন্ত্রণ করবেন জানিয়েছেন।
অজিত মাইতি বাবুর সাথে ফোনে এই বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পরে উনাকে আমি আমার তরফ থেকে কমিটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছি দুটি উপায়ে।
*প্রথমত* – আমাদের জেলার 21 টি ব্লকের ব্লক সভাপতিকে নির্দেশ দিন। তারা নিজের ব্লক থেকে 2 জন করে সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীকে পাঠাতে। সাথে ওই 21 জন ব্লক সভাপতিও থাকবেন। মোট সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী 42 জন ও 21 জন ব্লক সভাপতিকে নিয়ে বসে আলোচনা করুন।
*দ্বিতীয়ত* যেহেতু জেলায় দুটি সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়া তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অর্জন করে। এক গ্রাসরুট আর দ্বিতীয় ফ্যাম। তাই দুটোই সংগঠনের জেলার সভাপতিকে বলা হোক তারা যেন 21 টা ব্লক থেকে 21 জন সদস্য পাঠায় আর আপনি 21 জন ব্লক সভাপতিকে ডাকুন। আর যারা কোনো সংগঠনে না থেকে সরাসরি দলের জন্য কাজ করেন তাদের মধ্যে 21 জন এবং 21 জন ব্লক সভাপতিকে নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।
কমিটি গড়ার আগে যেকোনো একটি উপায় থেকে 42 জন সদস্যকে কোনো পদ না দিয়ে তাদের ফেসবুক একাউন্ট, টুইটার একাউন্ট, Whatsapp নম্বর নিয়ে একমাস সময় নিয়ে নিন কমিটি গড়ার জন্য। আর এই 42 জন কর্মীর ওপর 6 জন উপদেষ্ঠা রাখুন। তারা আগামী একমাস ওই 42 জনের ওপর বিভিন্ন মাধ্যমে নজরদারি রাখবেন। কে, কিভাবে , কোথায়, কখন দলের হয়ে প্রচারে থাকছেন। বিশেষ করে লক্ষ রাখতে হবে তাদের ভাষাগত প্রয়োগ, যুক্তি আকারে বিরোধিতা, স্থান কাল পাত্র বিশেষ কিভাবে প্রচার করে, কুৎসার বিরুদ্ধে কিভাবে নিজের দলের ভাবমূর্তি কে এগিয়ে নিয়ে যায় ইত্যাদি বিষয়। 6 জন উপদেষ্ঠা 42 জনের ওপর নজরদারিতে প্রত্যেকে মোট 7 জনের ওপর রাখবে। তার পরে এখন থেকে কমিটি তৈরি করুন। যারা পদের যোগ্য দাবিদার তাদের কে পদ দিয়ে বাকিদের কে সেই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে রাখুন। আর সেই সব মেম্বারদের তাদের ব্লকের দায়িত্ব তাদের ওপর দিন। এই ভাবে তৈরি করে রাজ্যতে পাঠিয়ে দিন।
অজিত মাইতি বাবুও শুনে বললেন এটা খুব সুন্দর মাধ্যম। আমি আগামী 21 শে জুলাই এর পরে পুরো জেলা নিয়ে বসবো। সেই দিন সিদ্ধান্ত নেবো। উনাকে যে ফ্যাম সদস্যরা অন্ধকারে রেখে তৈরি করতে গিয়েছিলেন সেটা উনাকে বোঝাতে পেরে খুব ভালো লাগলো। আর আমি চাই, সোশ্যাল মিডিয়া সংগঠন গুটি কয়েক মানুষের মধ্যে না রেখে যারা প্রকৃত দলের হয়ে সর্বদা জেগে থাকেন, যাদের লেখার মাধ্যমে বিরোধীরা কুপোকাত হবেন তাদের যোগ্যতার বিচারে সামনের সারিতে তুলে আনা হোক।
আপনাদের এতো কথা বলার উদ্দেশ্য, আপনারাও অন্তত জানুন যে, একটি সংগঠন তার হাতের কাছের গুটি কয়েক সদস্য কে নিয়ে কিভাবে একজন জেলা সভাপতি সাথে নিজের স্বার্থের জন্য কর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চলেছেন। তাই আপনাদের কাছে আবেদন – আপনারা নিজের ব্লক সভাপতির নজরে বিষয়টি আনুন। সচ্ছতার সাথে জেলা থেকে ব্লক পর্যন্তই সোশ্যাল মিডিয়া কমিটি গঠন হোক।