আজ আমেরিকায় ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: আজ আমেরিকায় ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গোটা বিশ্বের নজর কলম্বাসের আবিষ্কৃত দেশটির ওপর। ৫২৮ বছর আগে বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই পায় এই দেশটি। কালের আবর্তন ও বিবর্তনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেই আমেরিকাই পৃথিবীর সর্বশক্তিমান দেশে পরিণত হয়। প্রতি ৪ বছর অন্তর নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এই চতুর্ভুজ নির্বাচনে প্রধানত দু’জন প্রার্থী থাকেন। কারণ দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দল মাত্র দু’টি। অন্যান্য অনেক দল,উপদল,নির্দল থাকলেও সে সব ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। আজকের ভোট হল ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত ৪ বছরের কর্মকাণ্ডের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। রবিবার শেষ মুহূর্তেও ট্রাম্প ও তাঁর নিকটতম প্রতিপক্ষ জো বিডেন মাটি কামড়ে প্রচার করেন। বিনা যুদ্ধে কেউ কাউকে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে চান না। ট্রাম্প যেমন পুনর্নির্বাচিত হতে চেষ্টার কোনও কসুর রাখেননি, তেমনি বারাক ওবামা আমলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেনও প্রোমোশনের জন্য ৭৭ বছর বয়সে দিনরাত এক করে ফেলছেন। দু’জনেই চাইছেন অগ্নিপরীক্ষায় ফার্স্ট হতে। কারণ সেকেন্ড হওয়া আর ফেল করা একই ব্যাপার।

     

    তবে এবার প্রাক্-নির্বাচনী সব সমীক্ষাই বলছে বিডেনের পাল্লা ভারী। যদিও গতবার সব সমীক্ষা ওলোট-পালট করে হিলারি ক্লিনটনের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে হোয়াইজ হাউজের চাবিকাঠি পকেটস্থ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা মুখ হয়েও আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই এবারের প্রাক্-নির্বাচনী সমীক্ষাগুলো অনেক চুলচেরা বিশ্লেষণ ও হিসেব-নিকেশ করে পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা সরাসরি আমআদমির ভোটে নির্ধারিত হয় না। জনগণের দেওয়া ভোটকে বলা হয় পপুলার ভোট। এই ভোট এবং সংশ্লিষ্ট প্রদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে ঠিক হয় কোন প্রদেশে কত ইলেক্টোরাল ভোট। মূলত ইলেক্টোরাল ভোটের বিচারেই নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট। যেমন গতবার ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ বেশি পপুলার ভোট পেয়েছিলেন হিলারি। কিন্তু ইলেক্টোরাল ভোটে হিলারিকে কুপোকাত করে বাজিমাত করেন ট্রাম্প। এর অন্যতম কারণ হল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জটিল প্রক্রিয়া।

    আজ ভোটপর্ব মেটার পর বেশকিছু প্রদেশে গণনা শুরু হবে। আবার কিছু প্রদেশে গণনা শুরু হবে কাল থেকে। অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার থেকেই আভাস পাওয়া যাবে। তবে পূর্ণাঙ্গ বা চূড়ান্ত ফলাফল পেতে বেশ কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই অবশ্য অনেক প্রদেশে আগাম ভোট এবং পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে ট্রাম্প কিংবা বিডেন যিনিই নির্বাচিত হন শপথ নিয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ২০ জানুয়ারি। অর্থাৎ বিডেন জয়ী হলেও হোয়াইট হাউজে প্রবেশাধিকার পাবেন আড়াই মাস পর।