|
---|
নতুন গতি নিউজডেস্ক,মালদাঃ ইংরেজবাজার শহরে পুরাতন মালদা শহরের টোটো ও ই-রিকশা চলতে দিচ্ছে না প্রশাসন। এই শহরে ঢুকলেই ধরপাকড় করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, সেই টোটোগুলি ধরে কোনও জরিমানা না করে তা দিনের পর দিন আটকে রাখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতে রুটিরুজিতে টান পড়ায় প্রতিবাদ জানাতে সোমবার থালা হাতে মিছিল করল আরএসপি-র শ্রমিক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত মালদা টোটো ও ই-রিকশা চালক ইউনিয়ন। পুরাতন মালদহের মির্জাপুর থেকে মঙ্গলবাড়ি হয়ে ইংরেজবাজার শহরে রথবাড়ি পর্যন্ত মিছিল করে টোটো ও ই-রিকশা চালকরা। পরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয় ট্রাফিক পুলিশকে। কিন্তু তারপরেও সমস্যার সমাধান না হলে পুজোর আগেই আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে মঙ্গলবাড়িতে আমরণ অনশনে বসার হুমকি দিয়েছে তারা। পুরো ঘটনা সংগঠনের তরফে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে পুলিশ সুপারকেও।
ইংরেজবাজার শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে প্রায় দু”মাস আগে গ্রামীণ ও পুরাতন মালদা শহরের টোটো এবং ই-রিকশা ইংরেজবাজার শহরে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এই পদক্ষেপ কার্যকরের সময় টোটো চালকদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল শহরের একাধিক প্রান্ত। কিন্তু প্রশাসন অনড়। এই সিদ্ধান্ত শিথিল করার দাবিতে একাধিক সংগঠন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
পুজোর মুখে মানবিকতার খাতিরে ওই নিয়ম শিথিল করে পুরাতন মালদা শহরের টোটো ও ই-রিকশাগুলিকে ইংরেজবাজার শহরে চলাচলের দাবি তুলল আরএসপির শ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসির অন্তর্ভুক্ত মালদা টোটো ও ই-রিকশা চালক ইউনিয়ন। সংগঠনের সম্পাদক শ্যামল পাল চৌধুরী বলেন, “ইংরেজবাজার শহরে পুরাতন মালদদা শহরের টোটো এবং ই-রিকশাগুলি চলাচল নিষিদ্ধ করার পর থেকে চালকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত। জেলার বেশিরভাগ সরকারি দফতর, আদালত থেকে শুরু করে বেসরকারি অফিস, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, নার্সিংহোম সবই ইংরেজবাজার শহরে। ফলে পুরাতন মালদা শহরের মানুষকে কাজে ইংরেজবাজার শহরেই আসতে হয়। পুরাতন মালদা শহরে সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে অফিস-কাছারি কম থাকায় টোটো ও ই-রিকশা চালিয়ে সংসারে দু’বেলা ভাত জুটছে না। তাই আমরা দাবি তুলেছি অন্তত পূজার সময় এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করে পুরাতন মালদা শহরের টোটো গুলিকে ইংরেজবাজার শহরের চলতে দেওয়া হোক। ” আরএসপির জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পান্ডে অভিযোগ করেন, যাত্রীদের চাপে পড়ে পুরাতন মালদা শহরের কোন টোটো ও ই-রিকশা ইংরেজবাজার শহরের ঢুকে পড়লে সেগুলিকে আইন অনুযায়ী কোনো জরিমানা না করে দিনের পর দিন আটকে রাখছে ট্রাফিক পুলিশ। ফলে টোটো চালকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি বলেন, “আমাদের সংগঠনের টোটো ও ই- রিকশাচালকরা তাই সোমবার থালা হাতে পথে ভিক্ষায় নামে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ কর্তাদের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু তারপরেও যদি কাজ না হয় তবে আমরা অনশনে বসব।” ট্রাফিক পুলিশের এক জেলা কর্তা বলেন, “প্রশাসন, পুলিশ ও টোটোচালকদের নিয়ে বৈঠক করেই ইংরেজবাজার শহরের যানজট মোকাবিলায় গ্রামীণ ও পুরাতন মালদা শহরের টোটো ও ই-রিকশাগুলিকে ইংরেজবাজার শহরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ করা আছে। টোটো আটকে রাখার অভিযোগ ঠিক নয়।”