|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: মরণফাঁদ ডিজে বাজিয়ে বা মিউজিক বক্স নিয়ে জল্পেশের মন্দিরে যাওয়া যাবে না। এমনই নির্দেশ জারি করল প্রশাসন। রবিবার রাতে ছোট পিকআপ ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জন পুণ্যার্থীর। বৃষ্টির মধ্যে জেনারেটর দিয়ে ডিজে বাজিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। গাড়ির ভেতরেই জেনারেটর থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ১০ জন। এর পর থেকেই ডিজে, মিউজিক বক্স বা যে কোনও রকম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে মন্দিরে যাওয়া নিষিদ্ধ করল প্রশাসন।
জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপারের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রাবণ মাসে জল্পেশের শিবমন্দিরে যাওয়ার জন্য় পুণ্যার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। আর এই সময়টা তুমুল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সময় প্রায়ই ছোট ট্রাক বা পিকআপ ভ্যানে মিউজিক বক্স ও নানারকম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে যান পুণ্যার্থীরা। ফলে বড় বিপদের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। রবিবার রাতে চ্যাংড়াবান্ধার পিকআপ ভ্যানে যে দুর্ঘটনা ঘটল তা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। পুণ্যার্থীদের সচেতনতার বার্তা দিতেই তাই এবার আরও কঠোর হচ্ছে প্রশাসন।
গাড়ির ভেতরে হঠাৎ লোডশেডিং, এক ঝটকা লাগল, সবাই চেঁচাচ্ছিল ‘বাঁচাও রে’: জল্পেশের পুণ্যার্থী
প্রশাসনের সঙ্গে পরিবেশকর্মীরাও সচেতনতার বার্তা দিতে নেমেছেন। তাঁরা বলছেন, ডিজে বা মিউজিক বক্স তারস্বরে বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাও এর তোয়াক্কা না করেই গোটা শ্রাবণ মাসটা পুণ্য়ার্থীরা এই এলাকা দিয়ে বক্স বাজিয়েই মন্দিরে যান। নানারকম বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও থাকে তাঁদের সঙ্গে। বৃষ্টির সময় এই ভাবে ছোট ট্রাকে বা গাড়িতে জেনারেটর চালিয়ে যাওয়াও বিপজ্জনক। চ্যাংড়াবান্ধায় যে ঘটনা ঘটেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, বৃষ্টিতে জেনারেটরে শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। তার থেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় পুণ্যার্থীদের। এমন দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য এখন যথেষ্ট সতর্ক প্রশাসন।