কুলতলীতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রার্থী

বাবলু হাসান লস্কর কুলতলী দক্ষিণ ২৪ পরগনা : দিনের পর দিন গুলি বৃদ্ধ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের সাথে পঞ্চায়েত প্রার্থী কুতুব উদ্দিন ঘরামি। কুলতলি ব্লকের মেরিগঞ্জ ১ নম্বর অঞ্চলের পূর্ব খালপাড়ের ১১ নম্বর আইসিডিএস বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত পদপ্রার্থী । মেরিগঞ্জ এক অঞ্চলের পূর্ব খালপাড়ের বাসিন্দার কুতুবউদ্দিন ঘরামী। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় ৮ টায় দলীয় প্রচারে যাওয়ার পথে তার উপরে হামলা চালায় সি পি আই এম ও এস ইউ সি আই দুষ্কৃতীরা । কুতুবউদ্দিন ঘরামীর সঙ্গে থাকা দলীয় কর্মীরা পালিয়ে যায়। এবং কুতুবউদ্দীনকে লক্ষ করে গুলি করে। তাতে কুতুবউদ্দিন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় গুলির শব্দেতে স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে এসে কুতুব উদ্দিন কে উদ্ধার করে। এই খবর শুনে এলাকায় পৌঁছায় কুলতলি ১০ নম্বর জেলা পরিষদের পার্থী শ্যামপদ নস্কর উদ্ধার করে নিয়ে আসে জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিত্সাধীন।

    উভয় দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছে কুলতলী থানায়। তদন্ত শুরু করেছেন কুলতলী থানার আইসি অর্ধেন্দু শেখর দে সরকার। এ বিষয় নিয়ে সিপিআইএমের কুলতলি এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মন্ডল জানান, পরিকল্পিতভাবে নিজেদের কর্মীদের সঙ্গে নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধীদলের উপরে চাপ সৃষ্টি করা এবং পঞ্চায়েতে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করা । তিনি জানান এগুলো তৃণমূলের নাটক। অপরদিকে এসইউসিআই কমিউনিস্টদের কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক জয় কৃষ্ণ হালদারের কথায় মিথ্যা মামলায় তাদের কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে এর সঙ্গে দলের কর্মীদের কোন রূপ যোগ নেই। তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে তাই এলাকায় সন্ত্রাস এর বাতাবরণ সৃষ্টি করছে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তার যোগ্য জবাব দেবে।