পশ্চিমবঙ্গের ১০৮ টি পৌরসভা নির্বাচনে সর্বত্র তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ পশ্চিমবঙ্গের ১০৮ টি পৌরসভা নির্বাচন হয়। আজ ২রা মার্চ বুধবার ফল প্রকাশিত হয়, আর এই ফল প্রকাশের পরে একের পর এক পৌরসভা বিরোধীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল শাসকদল। ভোটের ফল আসতে শুরু করায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ও দলীয় কর্মীরা উল্লাসে মাতছেন। অপরদিকে বিরোধীদের ঘর ভেঙে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনি বিরোধী দলের অভিযোগ। তাদের পরাজিত প্রার্থীদের চোখের জলের মূল্য তৃণমূল কংগ্রেসের দিতে হবে। সত্যিই কি প্রকৃত তারা হেরেছে না ভোটের খেলায় মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে।এমনই চিত্র ধরা পড়ার কথা জানাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রায় প্রতি বছরে একটার পর একটা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে সংগঠিত হচ্ছে ২৭শে ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনের ফল আজ ২রা মার্চ বুধবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জন দেখেছেন, কেবল ঘাসফুলের জয়জয়কার।

    বিরোধীদের ঘর গুছানোর সময় দিল না রাজ্য সরকারের একের পর এক স্কিমের সুফল, আলাদা এক অনুভূতির সৃষ্টি করায় ভোট ব্যাংকে তার প্রভাব পড়েছে এমনই দাবি শাসক দলের নেতৃত্বের। পশ্চিমবঙ্গবাসী তা উপলব্ধি করেছেন। একের পর এক পৌরসভায় তাদের ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে। আর এতেই তাদের দলের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে। বিরোধীরা প্রচারের আলোয় আসার জন্য তারা সর্বদা অভিযোগ করেই থাকেন। জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বড়ো বড়ো কথাও বলেছেন এটা কি ভোট না প্রহসনে পরিণত করেছে। সত্যিই কি মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে? তা না হয়ে থাকলে এতগুলো পৌরসভা কোন দিনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসতোনা। সেজেগুজে টিভির পর্দায় মুখ দেখানো তা দেখে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার জন্য আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে মানুষের গ্রহণ যোগ্যতা এনেছে। আর তার ফলস্বরূপ ১০০ অধিক পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করবে। তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের রাজনীতি করে না উন্নয়নের রাজনীতি করে। রাতদিন সাতদিন অতন্ত্র প্রহরীর মতো মানুষের দুয়ারে দুয়ারে থাকায় আজ মানুষ তাদের আশীর্বাদ করেছে। আগামী দিনগুলিতে পৌর প্রশাসকরা পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নের ব্রতী হবেন এমনই জানান। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে জনমুখী উন্নয়নের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছেন তার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এমনি পৌর প্রশাসক হোক, প্রশাসক নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে সার্বিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেবেন তবেই পৌরসভা নির্বাচন সার্থক হবে।