করোনা নিয়ে প্রকাশিত পদুমবসান হারাধন স্কুলের পত্রিকা “কচিপাতা”

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক – করোনা আবহের মধ্যেই করোনা ও লকডাউনে ছাত্র ছাত্রীদের মনের ভাবনা নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদেরই লেখা সংগ্রহ করে প্রকাশিত হল পত্রিকা ‘কচিপাতা’। তমলুক উত্তর চক্রের পদুমবসান হারাধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘কচিপাতা’ পত্রিকার সপ্তম বর্ষের এগারোতম সংখ্যার বিষয় ‘করোনা ও লকডাউন’। উদ্বোধন করেন তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়। পৌরসভার কক্ষে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গবেষক প্রাবন্ধিক রাজর্ষী মহাপাত্র, কবি ও লেখক কৃতিসুন্দর পাল এবং কবি সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসাদ মাজি।

    গত বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার জন্য বিদ্যালয় বন্ধ। ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসা বারন। ঘরে থেকে থেকে সেইসব ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক অবস্থা কেমন তা জানতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে তাঁদের ভাবনা লিখে জানাতে বলেছিল। সেইসব লেখা থেকেই বাছাই করে প্রকাশিত হয়েছে ‘কচিপাতা’। সেইসাথে প্রত্যেকের জন্য দেওয়া হয়েছিল পোষ্ট কার্ড। তাতে লিখতে দেওয়া হয়েছিল এই সময়কালে তাঁদের মনের আকাঙ্ক্ষা এবং চাওয়া কি ধরনের।

    পঞ্চম শ্রেনির শুভজিৎ আদক, সায়ন্তিকা পণ্ডা, আদিত্যনারায়ণ পাত্র, কমল ব্যানার্জি, চতুর্থ শ্রেণীর শ্রাবণী মণ্ডল, তৃতীয় শ্রেণীর অনন্যা সামন্ত, মউলি মণ্ডল, কমলিকা দাস, দ্বিতীয় শ্রেণীর অরিত্র কুমার সাউট্যা, আরাধ্যা ত্রিপাঠীরা করোনা ও লকডাউনে তাঁদের কি অবস্থা হয়েছে তা লিখেছে। প্রত্যেকের লেখাতে ঘরে বসে থাকার যন্ত্রনা আর স্কুলে না যেতে পারার হতাশা ফুটে উঠেছে। তাঁদের সবার জিজ্ঞাসা, “আমরা কি স্কুলে যাবো না”?

    দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, এই দুস্তর করোনা আবহে যখন শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ এসেছে তখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে পদুমবসান হারাধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ দারুন উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে। এতে এঁদের কিছুটা হলেও মানসিক বিকাশে সহায়তা হবে। উল্লেখ্য এই বিদ্যলয় ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের “শিশুমিত্র পুরস্কার” এবং “বেস্ট পারফর্মিং স্কুল অ্যাওয়ার্ড” পেয়েছে।