|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : দলের অনুষ্ঠান, কিন্তু সেখানেই আমন্ত্রণ পেলেন না নেতা। ফের তৃণমূলে দ্বন্দ্বের ছায়া। এবার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ। তৃণমূলের অনুষ্ঠানে তৃণমূলেরই জেলা সভাপতিকে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূলের উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন ও রক্তদান শিবির আয়োজিত হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে ডাকা হয়নি তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। যা নিয়ে ফের প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের দ্বন্দ্বের ছবিটা। রবিবার বনগাঁর বিএস ক্লাবের মাঠে কর্মী সম্মেলন ও রক্তদান শিবিরের অয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়। উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। ছিলেন ওই পুরসভার তৃণমূলের একাধিক প্রাক্তন কাউন্সিলর। ওই অনুষ্ঠান থেকেই বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তারপরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘চেয়ারম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন করাচ্ছে না। ওই এলাকার মানুষ সমস্যায় আছেন। চেয়ারম্যান পুর ভোটে দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছে এবং সাত নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীকে জেতানোর জন্য সহযোগিতা করেছেন।’ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিশানা করায় তুঙ্গে উঠেছে তরজা। এখন বনগাঁ পুরসভায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন গোপাল শেঠ। তিনিই এখন তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওই রক্তদান শিবিরের কোনও অনুমতি দলের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। কারা কি বলছে তারা দলের কেউ নয়। উপনির্বাচন করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, আমার নয়। যে বলছে সে কংগ্রেস করে।’বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, ‘বনগাঁতে তৃণমূলের ব্যাপকভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। কোন দল এ টিম আর কোনটি বি টিম।’ এমন ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বনগাঁ শহর কংগ্রেসের সভাপতি সুনীল রায়কে।