|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ১০০ দিনের কাজে বঞ্চনার অভিযোগে মালদার মানিকচকে পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে। চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির ও উপপ্রধান তৃণমূলের। তাঁদের অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পে কম টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে গতকাল পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালান তৃণমূল সদস্য শেখ মহতাব। ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল সদস্যের পাল্টা দাবি, ১০০ দিনের প্রকল্পে সমবণ্টন হয়নি। তার প্রতিবাদ জানাতে পঞ্চায়েত অফিসে যান। মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
চৌকি মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি দলের এবং উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের। সবকিছু ভাঙচুরের জন্য দায়ী করা হয়েছে চৌকি মিরদাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মাহাতাব কে।তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে যে তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তিনি উপ প্রধান সাজিদ এবং অপর পঞ্চায়েত সদস্য অভিরাম মন্ডলকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। তার এই সমস্ত কথা রেকর্ড রয়েছে।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মাহাতাব পঞ্চায়েত অফিসে এসে গালাগাল করেছে এবং কম্পিউটার ল্যাপটপ থেকে শুরু করে চেয়ার ভাঙচুর করেছে। উপপ্রধান সাজিদ বলেন আমি বাড়িতে ছিলাম তখন এক পঞ্চায়েত কর্মী আমাকে ফোন করে অফিসে ভাঙচুরের খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছুটে আসি এবং দেখি সমস্ত কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ আমরা খবর দিয়ে মানিকচক পুলিশকে। মানিকচক পুলিশ প্রশাসন তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। চৌকি মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তুষার সাহা জানান আমাকে সাড়ে বারোটা নাগাদ ফোনে গালিগালাজ করে তারপরে পনে দুটো নাগাদ পঞ্চায়েতে ভাঙচুর হয়েছে।অপরদিকে পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মাহতাব পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ”আমি যখন পঞ্চায়েত অফিসে যাই তখন কেউ ছিলনা। ভাঙচুরের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।”
এদিকে, কাটোয়া শহরের তৃণমূলের ঘোষিত সভাপতি থাকা সত্ত্বেও অন্য এক নেতাকে শহর দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে দলের মধ্যে বিতর্ক উস্কে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর এতেই বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ও পূর্ব বর্ধমান জেলার নতুন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে এল। প্রকাশ্য সভা থেকে অনুব্রত মন্ডল রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নিজের গড় কাটোয়া শহর দেখাশোনার দায়িত্ব দিলেন তাঁর এক অনুগামীকে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অনুব্রত মন্ডল দায়িত্ব দিলেও রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত, দলের সিদ্ধান্ত নয়। কাটোয়া শহর দেখার জন্য শহর সভাপতি আছে। আর যাকে দায়িত্ব দেওয়া হল সেই সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনুব্রত মন্ডলের কথা অনুযায়ী কাটোয়া শহরের তিনি কাজ শুরু করবে।