তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদিকা ঋতুপর্ণা সিনহা কন্ঠে ও সাগর কেশরী কলমে কবিতার প্রকাশ করলেন মানুষত্ব বড় নাকি রাজনৈতিক বড়

নিউজ ডেস্ক,নতুন গতি:-বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটা প্রশ্ন খুব মনে সাড়া দিচ্ছে, মনুষত্ব বড়,নাকি রাজনীতি???
করেছেন তিনি অনেক কিছু, কিছুই বাকি রাখেননি রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ার কয়েকদিনের মাথায় অপ্রস্তুত রাজ্যকে প্রস্তুত করেছেন তিনি।২২ টি জেলায় ৬৬ টি করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র, ৫৫০এর অধিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। দীর্ঘ ৩৪ বছর বাম অপশাসনের পর রাজ্যের হাসপাতাল গুলি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল কিন্তু তিনি আসার পর স্বাস্থ্য পরিসেবা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। মহামারী কি বাংলাকে তিনি এখনো বুঝতে দেননি,ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সবই।তাঁর প্রচেষ্টায় দুঃস্থরা পাচ্ছে ভাতা, বিনামূল্যে ৬ মাস রেশন,স্কুল পড়ুয়ারা পাচ্ছে চাল ডাল আলু,বাজার হাট সবই খোলা রেখেছেন যাতে সাধারণ মানুষ কোন অসুবিধেই না পরেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়েছেন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, দিয়েছেন স্বাস্থ্য বীমা। বাংলার মানুষ তাঁকে কোনদিনও ভুলবে না।


    যেদিন সূর্য সুজন বিমান বাবুরা নবান্নে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন,খুব শ্রদ্ধা জেগেছিল তাদের প্রতি।গর্ব হয়েছিল রাজনীতিকে পাশে সরিয়ে,মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ভুল ছিলাম,পরমুহূর্তেই দেখতে পাই রাজনীতির নোংরা খেলায় তারা নেমে পড়েছেন। তারা লকডাউন কে উপেক্ষা করে পথে নেমে দাবি করছেন,রাজ্যের মানুষ নাকি রেশন পাচ্ছেন না। আমি প্রশ্ন করতে চাই তাদেরকে, এমন কোন মানুষকে কি আপনারা দেখিয়ে দিতে পারবেন যে মানুষ অনাহারে ভুগছে, যে মানুষগুলোর সাহায্যের প্রয়োজন তাদের কাছে ত্রান পৌঁছায়নি। পারবেন না।


    রাজ্যবাসীর যতটা প্রয়োজন ততটা তাদের কাছে আছে,আমাদের দিদি তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
    দিল্লির গদিতে বসে অনেকেই দাবি করছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে নাকি চাল পাঠানো হয়েছে।পাঠানো হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেই চাল গুলো কি মানুষ খেতে পারবে?আমি আপনাদেরকে প্রশ্ন করছি,আপনারা কি সেই চালের ভাত অন্তত একদিন খেতে পারবেন? আরে আমরা তো ভুলেই গিয়েছিলাম আপনারা তো ভাত খান না,রুটি খান।দিল্লির গদিতে বসে দেশপ্রেমীরা যখন পশ্চিমবঙ্গের হাফ প্যান্ট পরিহিত দেশপ্রেমীদের দ্বারা রাজনীতি করাতে পারছেন না,, তখন তাদের রাজনীতি করার মূল আঁতুড়ঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজভবন।যে রাজভবন কে বঙ্গবাসী খুব শ্রদ্ধা করত,সেই রাজভবনের মর্যাদা এক গভীর প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। মাননীয় রাজ্যপালের কাছে একটাই আবেদন প্রচারের আলোয় আসার অনেক পথ আছে, তবে এই কূটনৈতিক পদক্ষেপে রাজ্যবাসী খুব ব্যথিত। প্রয়োজনে আপনি দুঃস্থ মানুষদের ত্রাণ বিলি করে এক মানবতার নজির সৃষ্টি করতে পারতেন।কিন্তু আপনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে আপনার কাছে রাজনীতিটাই বড়।