কুণাল ঘোষকে তলব করল ত্রিপুরার খোয়াই থানার পুলিশ

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: এবার কুণাল ঘোষকে তলব করল ত্রিপুরার খোয়াই থানার পুলিশ। গত ৭ অগস্ট তৃণমূলের ধৃত তিন যুব নেতা সব বেশ কয়েকজনকে মুক্ত করতে থানায় গিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেই থানায় ছিলেন ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষও। কেন যুব নেতাদের গ্রেফতার করল পুলিশ? এই প্রশ্নে অভিষেক সহ তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বচসা হয় পুলিশের। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের এ রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকে পাঠিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ। নোটিসে উল্লেখ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কুণাল ঘোষকে পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

    দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা সহ তৃণমূলের যুবনেতাদের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে গত মাসের ৮ তারিখ উত্তপ্ত হয়েছিল ত্রিপুরা। তাঁদের মুক্তির দাবিতে খোয়াই থানায় যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, দোলা সেনরা। সেদিন থানার মধ্যে কার্যত রণং দেহি মেজাজে দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। কেন যুব তৃণমূলের নেতাদের গ্রেফতার করা হল? পুলিশের থেকে এর সদুত্তর না পেয়ে প্রতিবাদে খোয়াই থানায় অবস্থানে বসে পড়েন অভিষেক-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। পরে, ধৃতদের জামিন মঞ্জুর হলে ত্রিপুরা ছাড়েন অভিষেক।

    ওই ঘটনাকে সরকারি কাজে বাধা হিসাবেই তুলে ধরেছে ত্রিপুরা পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মোট ছয় জন তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। তবে সেই মামলায় কোনও অভিযুক্তকেই এখনও গ্রেফতারির পথে হাঁটেনি পুলিশ। বরং নোটিস পাঠিয়ে আইনি লড়াইয়ের পথেই তাঁদের টেনে নিয়ে যেতে মরিয়া বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশ।

    এরই প্রথম ধাপ হিসাবে নোটিস পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে। খোয়াই থানার তরফে নোটিস প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন কুণাল ঘোষ। তবে, গোটাটাই ‘যুক্তিহীন’ ও ‘হেনস্থা’ বলে দাবি করেছেন তিনি। জানিয়েছেন আইনি পথেই এই ঘটনার মোকাবিলা করবেন তিনি। কুণাল টুইটারে লিখেছেন, ‘ত্রিপুরা থেকে খোয়াই থানার নোটিস পেয়েছি। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা আমাদের হেনস্থার চেষ্টা করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমাদের ৫ জনের বিরুদ্ধে ওসি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিলেন। আমি নোটিস মেনে চলব। আইনি লড়াই চলবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভিডিও রেকর্ডিংয়ের আবেদন জানাব আইও-কে।’

    আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগেই এই নোটিস ঘিরে আরও বাড়ল ত্রিপুরায় রাজনীতির উত্তাপ।