ভূতশহর এলাকায় একইদিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই প্রতিবেশীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:- রাজ্যে একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। বাঁকুড়ায় (Bankura) একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এরপরও প্রশাসনের (administration) হুঁশ ফেরেনি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে বীরভূমে স্কুলের (Birbhum School) পাশেই ট্রান্সফর্মার। সেটি সরানোর দাবি তুলল স্কুল কর্তৃপক্ষের। সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে, প্রতিক্রিয়া বিদ্যুৎ দফতরের।দিনকয়েক আগে বাঁকুড়া শহরের কাছে ভূতশহর এলাকায় একইদিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই প্রতিবেশীর। মর্মান্তিক সেই ঘটনার পর এক সপ্তাহও কাটেনি। বাঁকুড়া শহরের যত্রতত্র এখনও তারের জঙ্গল। কোথাও তার ঝুলছে গাছের ডালে। বাতিস্তম্ভে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে খোলা সুইচ প্যানেল বক্স। এই ছবিই বলে দিচ্ছে, কয়েকদিন আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জোড়া মৃত্যুর পরেও ফেরেনি হুঁশ। মৃতের আত্মীয় প্রশান্ত ঘোষের কথায়, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। বারবার বলেছি এটা বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতি। এরপরও হুঁশ ফেরেনি, এখনও অনেক জায়গায় খোলা তার রয়েছে।’সূত্রের খবর, জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যদিও এরপরেও অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘সমস্যার সমাধান হয়নি। খোলা তার প্যানেল পড়ে রয়েছে। কিছু না করে আইওয়াশ করতে বদলি বা ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে।’বাঁকুড়া পুরসভার তৃণমূল নেত্রী ও চেয়ারপার্সন অলকা সেন মজুমদার বলেন, ‘পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ শুরু করেছে। তড়িঘড়ি কাজ শেষ করতে বলেছি। বাঁকুড়া শহরে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সচেতন রয়েছি।’একই ছবি বীরভূমের রামপুরহাটে। হস্তিকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটের পাশেই বসানো হয়েছে ট্রান্সফর্মার। আতঙ্কে অভিভাবক থেকে শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এক অভিভাবকের অভিযোগ, ‘স্কুলের পাশে ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছে। যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। আমরা চিন্তিত ও আতঙ্কিত।’ হস্তিকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকান্ত দে বলেন, ‘বাচ্চারা যখন খেলতে বেরোয় আতঙ্কে থাকি। সতর্ক থাকতে হয়। স্কুল থেকে বিদ্যুৎ দফতরে বারবার জানিয়েছি ট্রান্সফর্মার সরানো হোক।’এরপরও বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার টনক নড়েনি বলে অভিযোগ। রামপুরহাট মহকুমার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক শিশুনাথ দাস বলেন, ‘বিষয়টি লোকাল স্টেশন ম্যানেজারকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে সরিয়ে দেবে।’বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্যে পরপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন কবে তৎপর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।