পণের টাকা দিতে না পারায় ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিল শ্বশুরবাড়িতে এসে সোজা শাশুড়িকে খুন করল

নিজস্ব সংবাদদাতা : মেয়েকে ফোন করেছিল আগেই। কিন্তু রাজি হয়নি স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য। তবুও এক প্রকার জোর করেই এসে হাজির হয় গুণধর ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরেই ওই ব্যক্তির স্ত্রী তার সঙ্গে থাকেন না। অভিযোগ, একবার নয় একাধিকবার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল সে। কিন্তু শুক্রবার যে এমন ভয়ানক কাজ করবে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। পণের টাকা দিতে না পারায় ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিল সে। শ্বশুরবাড়িতে এসে সোজা শাশুড়িকে খুন করল। মুর্শিদাবাদের ঘটনা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে অবশেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদের বড়োয়া থানায় ভর্তি করা হয় আহত মহিলাকে। গোটা ওই গ্রামে চাঞ্চল্য পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে মুর্শিদাবাদের সুন্দরপুর গ্রামের ডালিয়া মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় জয়সালমের। তবে বিয়ের পর থেকেই ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে জোর দিত যাতে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসে সে। প্রথম-প্রথম মুখেই মৌখিক ভাবে সেই কথোপকথন চললেও, অভিযোগ, পরে জয়সালেম ডালিয়াকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আদায়ের জন্য শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে। বিগত কয়েকদিন ধরেই সেই অত্যাচারের পরিমাণ বাড়ে। সঙ্গে বেড়েই চলে অন্যায় আবদার। এদিকে ডালিয়ার বাপের বাড়ি আর্থিক দিক থেকে অতটাও সচ্ছ্বল নয়। সেই কারণে তারা প্রথম দিকে টাকা দিতে পারলেও পরে আর টাকা দিতে পারেনি।
এতেই রাগ হয়ে যায় জামাইয়ের। মুখে কোনও কথা না বলে শুক্রবার সোজা হাজির হয় শ্বশুরবাড়িতে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ দিতে থাকে শাশুড়িকে। প্রৌঢ়ার গোটা শরীর বেয়ে অঝোরে বেরতে থাকে রক্ত। এদিকে এলোপাথাড়ি কোপানোর সময় অভিযুক্ত বলতে থাকে ‘স্ত্রীকেও খুন করতে চাই’। পৌঢ়ার চিৎকারে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এলাকাবাসী। তারাই ধরে জয়সালমকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বড়োয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। অন্যদিকে, জখন মহিলাকে উদ্ধার করে কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।