|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুর। শুধু জেলার গুরুত্বপূর্ণ শহর নয়, রাজ্যেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর তার ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য। সারা বছরই পর্যটক ও নানান কাজে সাধারণ মানুষ ভিড় জমান এই শহরে। তবে যে যে কাজেই আসুন না কেন বহরমপুরে এসে সবাই একবার খেতে চান নিলু ধরের ঘুগনি। আর যিনি একবার এই স্বাদে মজেছেন তিনি বারবার আসেন রসনাকে তৃপ্ত করতে। বিগত প্রায় ৪২ বছরেরও বেশী সময় ধরে বহরমপুর শহরে এই ঘুগনি বিক্রি করছন নিলু ধর। সন্ধ্যা নামতেই ঘুগনি খেতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ । অধুনা লুপ্ত এক সময়ের বিখ্যাত কল্পনা সিনেমা হলের কাছেই ঘুগনি বিক্রি করেন তিনি। হরেক কিসিমের ঘুগনি আর জিভে জল আনা স্বাদই তার খাবারের বৈশিষ্ট্য। প্লেন ঘুগনি, খাসির মাংসের ঘুগনি, মুরগির মাংসের ঘুগনি, আলুর দম, মেটে চচ্চরি সহ নানা খাবার থাকে তাঁর কাছে। তবে মাংসের ঘুগনির চাহিদাই বেশি। নীলরতন ধর নাম হলেও তিনি নীলু ধর নামেই পরিচিত বহরমপুর শহরে।বিক্রেতা নীলু ধরের কথায়, প্রায় ৪২ বছর ধরে বহরমপুর শহরের কল্পনা সিনেমা হলের সামনে এই ঘুগনি বিক্রি করি। শুধু বহরমপুর নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষ আসে এই ঘুগনি খেতে। আমার কাছে বিভিন্ন রকমের ঘুগনি পাওয়া যায়। অনেকেই চেটে পুটে খান, অনেকেই বাড়ি নিয়ে যান। এক ক্রেতা শান্তনু দত্ত জানান, এই নিলু ধরের ঘুগনি খুবই সুস্বাদু। তাই মাঝে মাঝে আসি। ঘুগনির টানে ছুটে আসি আমরা।ক্রেতা তনুশ্রী দত্ত জানান ছোটো থেকেই এই ঘুগনি খাচ্ছি। তবে মাংসের ঘুগনি বেশি ভালো লাগে। অন্যদিকে মেটে চচ্চরি আরও বেশি ভালো লাগে। বহরমপুর শহরে যারা এখনও এই ঘুগনি খান নি তাদের একবার আসতেই হবে এই ঘুগনি খেতে।