কলকাতায় মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার উদ্যোগে মেদিনীপুর ভবনে বিদ্যাসাগর ও মতঙ্গিনী স্মরণ ও শিক্ষক সম্মাননা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা : কলকাতার বলরাম ঘোষ স্ট্রীটের মেদিনীপুর ভবনে বুধবার বিকেলে বাংলা নবজাগরণের অগ্রণী পথিক ও বাংলা গদ্য সাহিত্যের অন্যতম রূপকার মহামানব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরে ২০২ তম জন্মদিন (১২ ই আশ্বিন)পালন পালন করা হলো সাড়ম্বরে । পাশাপাশি একই সাথে ‘গান্ধীবুড়ি’ বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরার আত্মত্যাগ দিবস পালন করা হলো।এই মহতী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার সভাপতি বিজ্ঞানী ড۔ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল মহাশয়। প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন প্রাক্তন বিচারপতি অজিত নায়ক মহাশয়। বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী (প.ব.) অধ্যাপক প্রবোধ সিনহা,মেদিনীপুর সমন্বয সস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রণবেশ জানা,অধ্যাপক ড. গোপালচন্দ্র মিশ্র প্রমুখ । প্রদীপ প্রজ্জলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি। বিদ্যাসাগর ও মাতঙ্গিনী’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয় এবং পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন আল্পনা মজুমদার। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক রতিকান্ত মালাকার । উত্তরীয়, ব্যাজ ও পুষ্পস্তবক দিয়ে মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্টজনদের সাদরে বরণ করে নেওয়া হয়। অতিথিবৃন্দ বিদ্যাসাগর সম্পর্কে মনোগ্রাহী ও যুগপোযোগী বক্তব্য রাখেন।

    এর পরেই মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার মুখপত্র সমন্বয় বার্তা পত্রিকা এবং ‘মেদিনীপুর চরিতাভিধান’, ‘যুগপুরুষ বিদ্যাসাগর’ ও ‘মাধ্যমিক প্রসঙ্গ’ বই তিনটির আবরণ উন্মোচন করা হয়।এই মহতী অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘বিদ্যাসাগর শিক্ষক সম্মান’ প্রদান এবছরই শুরু হল। এবছর উনিশ জন শিক্ষককে ‘বিদ্যাসাগর শিক্ষক সম্মান’ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেকে উপস্থিত হতে পারেননি। যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।বিধাননগর কর্পোরেশন আঞ্চলিক ইউনিট এর সভাপতি পূর্ণেন্দু মাইতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য শেষ হওয়ার পর সভাপতির অনুমতিক্রমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।