|
---|
মালদা,:-ঢালাই রাস্তার খাজে ব্যবহৃত হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী। এই অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেো গ্রামবাসী ও তৃণমূল কর্মীরা।এমনই দুর্ণীতি ও স্বজনপোষনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের মকদমপূর পঞ্চায়েতের গৌড়িয়াবাসীরা।পঞ্চায়েত সূত্রে খবর ওই এলাকার গৌড়িয়া ১৩০ নং সংসদে প্রায় দেড়মাস আগে নির্মাণ হয় ঢালাই রাস্তা।তা বেশিরভাগই নিম্নমানের সামগ্রী বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।কাজ চলাকালী ওই সংসদের মেম্বারের স্বামী একাই একশো বলে প্রভাব দেখিয়েছেন।মেম্বারের স্বামী জুলফীকার আলি ঠিকাদারের হয়ে কাজ করিয়েছে।
সূত্রের খবর,ওই ১৩০ নং সংসদটি কংগ্রেসের দখলে।কোনো কাজ হলে তৃণমূল ছোঁয়া পায়না।তার ফাঁকেই দূর্ণীতি ও স্বজনপোষন বলে তৃণমূলের অভিযোগ।
ওই এলাকার তৃণমূল নেতা অশোক সাহা অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী সিংহভাগই ব্যবহার করেছে।যার ফলে মাস খানেকের মধ্যেই রাস্তায় ফাটল ও ধসে পড়ছে।
পাশাপাশি রাস্তা নির্মানের বরাদ্দ অর্থ স্বজনপোষনের করেছে ।তিনি আরোও বলেন,রাস্তা নির্মানের বরাদ্দ অর্থ কাটমানি হিসেবে মেম্বারের স্বামী জুলফিকার কে দেওয়া হয়েছে।যার কারনেই রাস্তার এই ভগ্নদশা।এই দূর্ণীতিতে মকদমপুর পঞ্চায়েতের কংগ্রেস জড়িত রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের।
রাস্তার ভগ্নদশা পুনঃ সংস্কারের দাবি ও মেম্বারের স্বজনপোষনের অভিযোগ তুলে চাঁচল-১ নং বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ পেয়ে বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।দূর্ণীতি প্রমান হলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কাজ ভালো হয়েছে এলাকার মানুষ চলাচল করেছে রাস্তাও ভালো আছে।এমনটাই দাবি কংগ্রেস মেম্বারের স্বামী জুলফিকারের।তিনি স্বজনপোষণ ও দূর্ণীতির বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।দেড় মাস পরে কেন এই অভিযোগ তা তিনি তৃণমূলের কর্মীদেরই দোষারোপ করছে।রাজনৈতিক রঙ ছাড়া কিছুই নেই এই বিক্ষোভে।
যদিও স্বজনপোষন ও দূর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সহদেব চন্দ্র মন্ডল।তিনি বলেছেন এটা তৃণমূলের চক্রান্ত।ওই কাজে নিয়ম মেনে টেন্ডার করে রাস্তা ঢালাই করা হয়েছে।