দুর্নীতি ও সরকারি প্রকল্পের টাকা তছরূপের অভিযোগ গ্রামবাসীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:- রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবে করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে জেলায় জেলায় পৌঁছচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ঠিক এমনই সময়ে দুর্নীতি ও সরকারি প্রকল্পের টাকা তছরূপের অভিযোগ এনে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।শুধু বিক্ষোভ দেখানোই নয়, গ্রামবাসীরা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতারেরও দাবি করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বেগপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। খবর পেয়ে ব্লক প্রসাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।গ্রামবাসীরা বেগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিউলি মল্লিকের বিরুদ্ধে এই প্রথম দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনে স্বোচ্চার হলেন এমনটা নয়। তাঁরা গত জুলাই মাসে কালনা এক ব্লকের বিডিও অফিসে গিয়ে শিউলি মল্লিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা তছরুপের অভিযোগ এনেছিলেন। আর এদিন ফের তাঁরা বেগপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিউলি মল্লিকের সময়কালে শৌচাগার নির্মানের নামে লক্ষ-লক্ষ টাকা তছরূপ হয়েছে। এছাড়াও ড্রেন, ঢালাই রাস্তা তৈরি সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কয়েক কোটি টাকা তছরূপ হয়েছে, এমনই অভিযোগ। যে তছরুপ ও দুর্নীতির মূল কাণ্ডারী ছিলেন বেগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিউলি মল্লিক।বিক্ষোভকরীদের দাবি, ২৯ টি গ্রামের মানুষজন এখনও শৌচাগার পাননি। অথচ খাতায় কলমে দেখা যাচ্ছে তারা শৌচাগার পেয়ে গেছেন। এছাড়াও ২০১৪ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত অনেক ঢালাই রাস্তার পাশে ড্রেনও হয়নি। তথ্য সহকারে এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও দাবি করেন বাসিন্দারা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিউলি মল্লিক। অন্যদিকে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান অসীম কুমার মিত্র জানান, পুরো বিষয়টি আরটিআইয়ের পর সামনে আসে। আমরা বিষয়টির তদন্ত করে দেখছি।