মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে নিম্নমানের রাস্তা তৈরির প্রতিবাদে সরব গ্রামবাসীরা

 

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : সরকারী টেন্ডারের নিয়ম না মেনে নিম্নমানের রাস্তা তৈরির প্রতিবাদে রাস্তার কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার সাধারণ মানুষজন। পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের মদতে ঠিকাদার রাস্তার কাজ সম্পন্ন করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাঙাইপুর খেজুরবাড়ি এলাকায়। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সকল স্তরে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তাই গ্রামবাসীরা নিজেরাই রাস্তার কাজ বন্ধ করতে গেলে শাসক দলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মধুসূদন দাস ও তার দলবলেরা অভিযোগকারীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি ওই পঞ্চায়েত সদস্যের উস্কানিতে তার দলবলেরা অভিযোগকারীদের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

     

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ সরকারি নির্দেশিকা না মেনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা করেছে। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগ সাজসে ঠিকাদার। এই রাস্তা তৈরিতে সরকারী নিয়ম মানছেন না। উলটে এই রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করায় এলাকার বেশ কিছু মস্তানদের কাছ থেকে অশ্লীল ভাষা শুনতে হয়েছে স্থানীয়দের।

     

    দীর্ঘ বছর ধরে খেজুর বাড়ি এলাকার এক কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা অবস্থায় পড়ে ছিল। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় জমত জল।এই কর্দমাক্ত রাস্তা নিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন এলাকাবাসী।

    সম্প্রতি পঞ্চায়েত থেকে এক কিলোমিটার রাস্তা কংক্রিটের তৈরির জন্য প্রায় ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। এক স্থানীয় ঠিকাদার সেই রাস্তা তৈরির কাজ শুরুও করেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ সরকারী নিয়মে ছয়-আট ইঞ্চি পুরু করে রাস্তা ঢালাই করার কথা বলা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি।কোথাও দেড় ইঞ্চি তো কোথাও দুই ইঞ্চি ঢালাই করেছেন ঠিকাদার। অন্যদিকে এই কংক্রিটের ঢালাইয়ের নীচে ইট বিছানোর কথা থাকলেও কার্যত তা পুরোপুরি ভাবে না বিছিয়ে কোথাও মাটির উপরেই ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বারে বারে এই ঘটনার প্রতিবাদ করে রাস্তাটি সরকারী নিয়মে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরির জন্য গ্রামবাসীরা আবেদন জানালেও বাস্তবে কোন লাভ হয়নি। ঠিকাদারের কাছ থেকে সিডিউল দেখতে চাইলে দেখাতে অস্বীকার করে। অভিযুক্ত ঠিকাদার স্থানীয় নেতা ও মস্তানদের সাথে টাকার বিনিময়ে রফা করে নিয়ে এই রাস্তা তৈরি সরকারী নিয়মে করছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামের মানুষজন।

     

    ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সেই সমস্ত নেতা ও মস্তানদের হাতে প্রহৃত হতে হচ্ছে তাদের। তবে এলাকার মানুষ এখনই আন্দোলন ছারছেন না। তাদের দাবী সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী কাজ না হলে অদূর ভবিষ্যতে এই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সরকারী নিয়ম মেনে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করেই পুনরায় এই রাস্তা তৈরি হোক।

     

    পঞ্চায়েত প্রধান রিসবা খাতুন এর স্বামী আফজল হোসেন জানান শুনেছে গ্রামবাসীরা বিডিও কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।এই বিষয়ে গ্রামবাসীরা প্রধানের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করবে বলে জানান।

     

    পঞ্চায়েত সদস্য মধুসূদন দাস জানান এই রাস্তা তৈরিতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা তিনি জানেন না। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই কাছ হয়েছে। অভিযোগকারীদের বাড়িতে কেউ চড়াও হয়নি।তারা মিথ্যা আরোপ লাগানোর চেষ্টা করছে।

    বিডি অনির্বাণ বসু জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবেন।