এক গৃহবধূ ও প্রতিবন্ধী স্বামীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মারধরের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে,থানায় দ্বারস্থ গৃহবধূ

মালদা: এক গৃহবধূ ও প্রতিবন্ধী স্বামীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মারধরের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে,থানায় দ্বারস্থ গৃহবধূ।

    এক গৃহবধূকে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি,ভাশুর ও জা সহ পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে।স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত প্রতিবন্ধী স্বামীও।এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকাল সাতটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেজপুরা গ্রামে।আহত হয়েছেন গৃহবধূ ইস্রেফা বিবি ও প্রতিবন্ধী স্বামী আতাউর রহমান। আহত ইস্রেফা বিবি শ্বশুরবাড়ির সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

    অভিযোগকারী ইস্রেফা বিবি জানান তার বাড়ির সামনে অভিযুক্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে নোংরা আবর্জনা ফেলে রাখে।আজও আবর্জনা ফেলে রেখেছিল।বারন করতে গেলে বিবাদীরা পূর্বের আক্রোশে একজোট হয়ে বাড়িতে ঢুকে অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাঁশ,ইট ও পাথর দিয়ে আঘাত করে।স্বামী বাজার থেকে এসে প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও বাঁশ,ইট ও পাথর দিয়ে বেধরকভাবে মারধর করে।এমনকি বিবাদীরা তার স্বামীর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে রাখলে ঘটনাস্থলে সে অচৈতন্য হয়ে পড়ে এবং নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।আহত অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে আশঙ্কা জনক অবস্থা দেখে ডাক্তারবাবুরা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন।

    অভিযুক্ত শ্বশুর লতিফুল রহমান জানান তার বৌমার বাড়ির বেড়ার ধারে আবর্জনা রাখা ছিল। বৌমা এটাকে নিয়ে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করছিল।পরিবারের লোকেরা তাকে বারন করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।

    অভিযুক্ত জা সোনালী বিবি জানান তার শ্বাশুড়ী আবর্জনা ফেলে রেখেছিল।তার ছোট মেয়ে ঠাম্মার সঙ্গে তার বাড়ির সামনে গেলে তাকে মারতে আসে এবং নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে।এতে‌ প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে বচসা শুরু হয়।

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান অভিযোগর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।