দুই মাস ধরে নিখোঁজ, আলিপুরদুয়ারে উদ্ধার হওয়া কিশোরীর বাড়িতে গেলেন চাইল্ড লাইন

মহম্মদ নাজিম আক্তার, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: পথ হারিয়ে ট্রেনে চেপে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার এক কিশোরী পৌঁছে গিয়েছিল কোচবিহারের আলিপুরদুয়ারে। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্ধার হয় কিশোরী। তাকে রাখা হয়েছে স্থানীয় এক করেন্টিন সেন্টারে। স্থানীয় প্রশাসন মালদা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জানা যায় মেয়েটির বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বাইসা রামনগর গ্রামে। মেয়েটির নাম রহিমা বেদ (১৭)।প্রশাসনিক স্তরে মেয়েটিকে ফেরানোর জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে।এর মধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর ওই মেয়েটির বাড়িতে তার বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে দ্রুত মেয়েকে ফেরানো হবে এই আশা যোগালেন জেলা পরিষদের শিশু নারী ও ত্রাণ কর্মদক্ষ মর্জিনা খাতুন ও চাইল্ড লাইন। তিনি আজ সকালে চাইল্ড লাইন সদস্য নিহারুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ওই মেয়েটির বাড়িতে যান। সেখানে মেয়েটির পরিবারের হাতে কিছু ত্রাণসামগ্রী সহ আর্থিক সাহায্য তুলে দেয়া হয়। তার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটির সাথে বাবা-মায়ের কথা বলানো হয় ফোনের মাধ্যমে।

     

    এ প্রসঙ্গে মর্জিনা খাতুন বলেন “আজ রহিমা বেদের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করলাম। তাদের সঙ্গে তার মেয়ের কথা বলানো হলো। কিছু ত্রাণ সামগ্রী আর্থিক সাহায্য করা হলো। আমি ব্যক্তিগত স্তরে দু জেলার পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। উনারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

    এদিকে রহিমা বেদের মা বলেন, ‘আমাদের মেয়ে দীর্ঘ দু’মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি আমাদের মেয়ে কোচবিহারের আলিপুরদুয়ারে এক সরকারি করেন্টিন সেন্টারে রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকেও জানিয়েছি। আজ মর্জিনা খাতুন আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি আমাদের কিছু আর্থিক সাহায্য করলেন।তার সাথে আমাদের কে আশ্বস্ত করলেন যে আমাদের মেয়ে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবে।আজ আমরা উনার সহায়তায় আমাদের মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।’

    এদিকে আজ মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মালদা চাইল্ড লাইন চাঁচল শাঁখার সদস্য নিহারুল ইসলাম। তিনি জানান আমরা চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে যতটা পারি সহায়তা করবো। ইতিমধ্যেই আমরা আলিপুরদুয়ারের চাইল্ড লাইনের সঙ্গে কথা বলেছি। CWC র অনুমতি পেলেই সরকারি ভাবে মেয়েটিকে তার বাবা-মার কাছে পৌঁছে দিবো বলে আশা করছি।
    এদিকে মেয়ে তো দুমাস ধরে নিখোঁজ থাকার পরে খোঁজ মেলা এবং বাড়ি ফেরার তোরজোর শুরু হওয়ায় খুশির আবহাওয়া রামনগর এর বাইসা গ্রামে। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে এই আশায় দিন গুনছে রহিমার বাবা-মা।