|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বলিউডের চাঁদনি-র মৃত্যু নিয়ে আজও ধোঁয়াশা রয়েছে টিনসেল টাউনে৷ ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারের বাথরুমের বাথটবে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিনেত্রীকে৷ শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বিশ্ব।মৃ্ত্যুর পর এতগুলো বছর পার হয়ে গেলেও শ্রী-র মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও চর্চা থামেনি৷ ৫৪ বছরের অভিনেত্রীর অকাল মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি ভক্তরা৷ বাথটবে স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে হাজারো অভিযোগ উঠেছিল স্বামী বনি। শ্রীদেবীর মৃত্যুর ৫ বছর পার হয়ে গেলেও তাঁর মৃত্যু নিয়ে স্পিকটি নট ছিলেন বনি কাপুর৷ তবে আর নয়, একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে প্রথমবার নীরবতা ভেঙে মুখ খুললেন বনি কাপুর৷ যা ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷এক সাক্ষাৎকারে বনি কাপুর বলেন,শ্রী-র মৃত্যুটা স্বাভাবিক ছিল না৷ বড়সড় দুর্ঘটনার জেরেই সেদিন মৃত্যু হয়েছিল অভিনেত্রীর৷ একাধিকবার ম্যারাথন জেরার মুখেও পড়তে হয়েছিল, সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেছেন পরিচালক , শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর মিডিয়ার একটা বড় অংশ কাঠগড়ায় তুলেছিল বনি কাপুরকে৷ সকলেই শ্রী-র মৃত্যুর কারণ ভেবেছিল অভিনেতাকে৷ দুবাই পুলিশের একটানা জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল৷ তারপর ক্লিনচিট পেয়েছিলেন বনি কাপুর৷ বনি জানান, শ্রী-র মৃত্যুর পর অফিসাররা আমায় বলেছিল, ভারতীয় মিডিয়ার থেকে প্রচুর চাপ রয়েছে৷ সমস্ত রকম পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল এমনকী লাই ডিটেক্টর টেস্টও হয়েছিল৷ রিপোর্ট বেরানোর পর আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করা হয়েছে৷ এর চেয়ে বেশি কিছু বলা বনি জানান, নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য না খেয়ে কাটাতেন চাঁদনি৷ এমনকী চিকিৎসকের পরামর্শও মানতেন না৷ শুরু থেকেই রক্তচাপ জনিত সমস্যা ছিল৷ ব্লাড প্রেশার কম থাকায় মাঝে মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যেতেন৷ নুনও খেতেন না।