|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : আন্ডার পাশের দাবীতে আন্দোলন করে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করলো গ্রামবাসীরা। আন্দোলন যোগ দেন গলসির ভাসাপুর, মনহরসুজাপুর, পোতনা, সিংপুর শিড়রাই সহ বেশকিছু গ্রামের মানুষ। তাছাড়াও তাদের সাথে আন্দোলনে যোগদেন বেশকিছু স্কুল পড়ুয়া। শুক্রবার সকল দশটা নাগাদ গলসির ভাসাপুলে বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন এলাকার মানুষ। এরপরই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ তারা বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে গলসি পুলিশ এসে তাদের আশ্বস্ত করেন। আন্দোলন কারীদের দাবী, দামোদর নদীর ধার অবস্থিত সিমাসিমি, কাশীপুর, শিড়রাই, পোতনা ও খুরাজ সহ বিভিন্ন গ্রামের আড়াই তিনশো ছেলেমেয়ে স্কুল কলেজে যাবার জন্য ভাসাপুলে এসে বাসে চাপেন। এখান থেকে বাস ধরে বুদবুদ, গলসি ও বর্ধমান যেতে হয় নিত্যযাত্রীদের। সেইজন্য তাদের জাতীয় সড়ক পারাপার করেতে হয়। তাছাড়াও দুটি রুঠে চারটি বাসের যাত্রীরা ভাসাপুল থেকে বাসে চড়েন। পাশাপাশি তিন চারটি গ্রামের চাষিদের সড়ক পেড়িয়ে মাঠে চাষের যন্ত্রাংশ পারপার করতে হয়। ফলে আন্ডারপাশ না হলে দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যায় পরবেন হাজার হাজার মানুষ। গ্রামবাসী, সেখ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রশাসনের সকল জায়গায় আবেদন করেছি। তারপরই গার্ড ওয়ালের কাজ হয়ে হয়ে চলে আসছে। তারা আমাদের দাবীকে মানছেন না। সেই জন্যই আজ কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করেছি। যতদিন না আমাদের দাবী মানা হবে ততদিন জাতীয় সড়কের কাজ বন্ধ থাকবে বলে হুসিয়ারী দেন তিনি। শিড়রাই গ্রামের বাসিন্দা সেখ জামালউদ্দিনের দাবী, দু আড়াই শো স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা এখানে বাস ধরে। পাশের শিড়রাই গ্রামে একটা পঞ্চায়েত অফিস আছে। আন্ডার পাশ না হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে এক দেড় কিমি পথ হেঁটে গিয়ে রাস্তা পারাপর করতে হবে। এতে স্কুল কলেজের পড়ুয়া, ব্যবসায়ী ও চাকরি জীবিরা সমস্যায় পরবেন। সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে পারবেন না। তাই ভাসাপুলে জাতীয় সড়ক পারাপারের জন্য একটা আন্ডারপাশ করতে হবে। সিংপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা চাষি সেখ মোরসেলিম বলেন, আন্ডার পাস না হলে আমদের চাষাবাদের জন্য মাঠে যেতে সমস্যায় পরব। তাছাড়াও স্কুলের ছেলেমেয়েরা পার হতে পারবে না। আন্ডার পাশের জন্য আমরা প্রশাসনকে আবেদন করেছি। এরপরই কোন কাজ হয়নি। তাই আমরা আন্ডার পাশের দাবীতে সড়কের কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করছি।