তৃণমূলের জলযোগে যোগাযোগ এ শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচাৰ্য

শরিফুল ইসলাম, শান্তিপুর : “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বিপন্ন বিজেপির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের হাতে l মানুষের রায়ে নির্বাচিত সরকারকে আমরা অস্বীকার করতে পারিনা l তাই জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের অনৈতিক পথ, অনৈতিক কাজ ও অনৈতিকভাবে সংবিধানের বিকৃতি ঘটানোর অপ-প্রয়াসের প্রতিবাদ ও প্রতিকারের জন্য আমরা মানুষ কে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে মানুষের স্বার্থে মানুষের কাছেই যাবো l রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা আমাদের সকলের চোখেরমনি শ্রদ্ধেয়া দিদিমনিকে কে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন থেকে শুরু করে, ন্যায়-নীতি, স্বাধীনতা-সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় দেশের সংস্কৃতি ঐতিহ্য ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, তাঁর অভিভাবকত্বে ও নেতৃত্বে আগামী দিনের লড়াই আন্দোলে সর্বস্তরের মানুষকে কে সচেতন ও সংঘবদ্ধ করতে হবে l “

    বাংলার গর্ব মমতা’য় প্রথম পর্যায়ের ‘জল যোগে যোগাযোগ’ দ্বিতীয় পর্বে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য l

    ‘দিদিকে বলোর’ পর 2রা মার্চ, কলকাতার ইনডোরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পঁচাত্তর দিন ব্যাপী এক নিবিড় জনসংযোগ কর্মসূচি গৃহীত হয়। তার অংশ হিসাবে পঁচাত্তর দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে বিধায়কের ডাকে বিধানসভা ভিত্তিক তৃণমূলের ‘জলযোগে যোগাযোগ ‘ কার্যত জনসংযোগ কর্মসূচী পালনের জন্য আহুত ঘর ভর্তি সাংবাদিক সম্মেলনে শান্তিপুরে বিধায়ক অরিন্দম ভাট্টাচার্য্য 2রা মার্চ তৃণমূলের রাজ্যস্তরের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন, আজ l

    বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতির পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনমুখী কার্যকলাপের উল্লেখ করেন বিধায়ক অরিন্দম l মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও বিভিন্ন পর্যায়ে সমাজের ভিন্ন ভিন্ন স্তরের মানুষের পারস্পরিক মেলবন্ধনের উদ্দেশ্যে ঘোষিত নানান কর্মসূচীর বিভিন্ন পর্যায় সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেন অরিন্দম l

    রাজ্যের সর্বত্র মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুগামী ও অনুসারী বিধায়কদের নেতৃত্বে প্রায় পনেরো হাজার জনবসতি ঘুরে, পঁচাত্তর হাজারের বেশি তৃণমূলের দলীয় কর্মী বাংলায় আড়াই কোটি মানুষের কাছে পৌঁছবেন l পঁচাত্তর দিনের এই জনসংযোগ তথা রাজনৈতিক প্রচারাভিযান কর্মসূচী চলবে দশই মে, দু’হাজার কুড়ি পর্যন্ত l
    সাংবাদিক সম্মেলন শেষে শান্তিপুর থানা অঞ্চলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ও কর্মরত সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদের মর্যাদাসহ মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয় l সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনের সুবিদার্থে একটি আঞ্চলিক সাংবাদিক সমন্বয়ী রিপোর্টাস গ্ৰুপ-এর শুভ সূচনা করেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য l