|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- একবার নয়, দু’বার নয়, চার-চারবার বিয়ে করছিলেন। কিন্তু পঞ্চমবার আর হল না। বিয়ে করতে এসেই ফেঁসে গেলেন যুবক। হবু শ্বশুরবাড়ির সামনে এল আসল সত্যি। তারপরই বন্দি করা হল তাঁকে। উত্তর দিনাজপুরের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।কথায় বলে স্বভাব যায় না ম’লে, আর ইল্লত যায় না ধুলে। একবার দু’বার নয়, তিন তিনবার ঠিকানা বদলে-বদলে তিন নারীকে বিয়ে করেন ওই যুবক। তারপর প্রতারণা করে ছেড়ে দেয়। এই করে বেশ ভালোই চলছিল তার। চতুর্থবার মুম্বইয়ের এক মহিলাকে বিয়ে করেন।কিন্তু ওই যে স্বভাবের দোষ!ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার নারায়ণপুর গ্রাম। অভিযুক্ত যুবকের নাম আবুল হোসেইন। মেয়ের বাড়ির সদস্যরা বলেন, আবুল হোসেইন নামে ওই যুবক নিজেকে চোপড়ার কাটগা এলাকার বাসিন্দা পরিচয় দেয়। এবং অবিবাহিত জানিয়ে তাঁদের বাড়ির তরুণীকে প্রেমের জালে ফাঁসায়। পরে মেয়ের বিয়েও ঠিক হয় তাঁর সঙ্গে। সরকারিভাবে মাস কয়েক আগে রেজিস্ট্রি হয় তাঁদের। এরপর পণ হিসেবে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।ঘটনার পর খোঁজ খবর নিয়ে মেয়ের বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন, ওই যুবক চোপড়ার কমলগছ এলাকার বাসিন্দা। সে এর আগে আরও চারটি বিয়ে করেছেন। যার মধ্যে চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে সে তাঁর কমলগছ গ্রামের বাড়িতেই থাকেন।পরে চোপড়াতেই ভুয়ো ঠিকানায় নিজের আধার কার্ড তৈরি করেন অভিযুক্ত। তারপর এখানকার এক তরুণীকে ফাঁদে ফেলে ওই প্রতারক।এদিকে, তোড়জোড় চলছিল সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়ারকিন্তু কোনের এক আত্মীয়ের কাছে খবর আসে, জামাই প্রতারক। খোঁজ খবর নিয়ে প্রতারক হবু জামাইকে হাতেনাতে ধরতে ফাঁদ পাতে। ছেলেটিকে বলে “তাঁদের এক আত্মীয় অসুস্থ, তাঁকে নিয়ে মেডিক্যালে যেতে হবে” এই ফাঁদেই পা দেয় ওই প্রতারক। হবু জামাই আসতেই তাকে ধরে ফেলেন হবু শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়রা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সব স্বীকার করে নেন তিনি। পরে হুমকি দেওয়া হয় টাকা ফেরত দিতে, নয়ত পুলিশে দেওয়া হবে। এদিকে চাপে পড়ে সব ঘটনা স্বীকারও করে নেয় ওই প্রতারক।