কার দখলে বাংলার গ্রাম!

বাবলু হাসান লস্কর কুলতলি দঃ চব্বিশ পরগনা : গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে ভাইয়ে ভাইয়ের লড়াই। প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রতিবেশী মনোমালিন্য-একে অপরের সাথে বিবাদ এটাই কি গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব? ধনধান্যে পুষ্পে ভরা এই বাংলাতে আজ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চলছে কিছু স্বার্থপর পরশ্রী কাতর মানুষজন। সেদিকে থাকবে আমাদের কড়া দৃষ্টি। তবেই গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে আমরা সামিল হতে পারব। মাথায় ছোট বহরে বড় বাঙালি সন্তান আজ দিশেহারা। যেখানে বারো মাসে তেরো পার্বণ-উৎসব মুখর বাঙ্গালীর ১৩ পার্বণে মিলিত হওয়ার প্রবণতা থাকলে ও আজ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুহূর্তে প্রতিবেশীর সাথে প্রতিবেশীর মনোমালিন্য। একে অপরের সঙ্গে আলাপচারিতা বন্ধের পথে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে এ কি নির্বাচন। প্রতিটি নির্বাচনে ঝরে তরতাজা প্রাণ। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুহূর্তে রক্তক্ষরণ আমরা কি পারিনা বন্ধ করতে। নির্মল পরিবেশ বাঁচিয়ে রাখতে পারলে সুখে শান্তিতে দিন অতিবাহিত হওয়ার উপযোগী হতে পারে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে চাপান উতোর শুরু হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে। একে অপরের নামে রটানো হচ্ছে কুৎসা ও অপপ্রচার। কোথাও দলীয় পতাকা ছেড়ার অভিযোগ দায়ের হচ্ছে থানায়। কোথাও বা দেয়াল লেখা কে কেন্দ্র করে বাড়ছে উত্তেজনা। দলীয় প্রার্থী নাম কিম্বা সিম্বলে মাটির প্রলেপ দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে। কোথাওবা দেখা যাচ্ছে একান্নবর্তী পরিবারের দুই জায়ের ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিম্বলের লড়াই ২০২৩ এই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে এ যেন এক উলট পুরাণ । কোথাও বা দেখা যাচ্ছে দুই জায়ের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ভায়ে ভায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভিন্ন দলের প্রার্থী হওয়ার নজির,বাক্যবানে বৃদ্ধ একে অপর ।