প্রথম স্ত্রীর অজান্তেই দ্বিতীয় বিয়ে, স্ত্রী সহ ৫ মাসের শিশুপুত্রকে খুন করে পলাতক স্বামী

 

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : স্ত্রী ও পাঁচ মাসের শিশুকে খুন করে উধাও অভিযুক্ত স্বামী। এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ক্যানিং থানার অন্তর্গত উত্তর হাটপুকুরিয়াতে। ফেরার অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তের নাম সফিউদ্দিন। নিহত মা ও শিশুর নাম মোমেনা এবং সাহেদ।

    পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর হাটপুকুরিয়ার বাসিন্দা সফিউদ্দিন বছর তিনেক আগে বিয়ে করেছিল জয়নগর থানা এলাকার মহিষমারি গ্রামের মোমেনাকে। এটি ছিল সফিউদ্দিনের দ্বিতীয় বিয়ে। তবে এই বিয়ের কথা জানতেন না সফিউদ্দিনের প্রথম স্ত্রী সাদেয়া। সেই নিয়ে তুমুল অশান্তি হয় সাদেয়া, সফিউদ্দিন এবং মোমেনার। পুলিশ-প্রশাসনের সহায়তায় তাদের পারিবারিক বিবাদ মিটেছিল সাময়িক ভাবে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সাদেয়া এবং মোমেনা দুই স্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গেই নাকি সংসার করছিলেন সফিউদ্দিন।

    তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই মোমিনা এবং সফিউদ্দিনের মধ্যে তুমুল অশান্তি চলছিল। নিত্যদিনের পারিবারিক বিবাদে চিৎকার-চেঁচামেচির ঠ্যালায় টিকতে পারতেন না প্রতিবেশীরা। তবে রবিবার সকাল থেকে অদ্ভুত ভাবেই শান্ত ছিল সফিউদ্দিনের বাড়ি। সন্দেহ হওয়ায় মোমেনার নাম ধরে ডাকাডাকি করেন স্থানীয়রা। কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে এলাকারই কয়েকজন থানায় খবর দেন। এর মধ্যেই পাড়ার কয়েকজন সফিউদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মোমিনা এবং তাঁর শিশুপুত্র। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলেই। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে আসে ক্যানিং থানার পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে যায়। সেখানে মা এবং শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে মোমিনাকে। আর তাঁর ৫ মাসের পুত্র সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে সঠিক ভাবে কিছু জানায়নি পুলিশ। আপাতত মৃতদেহ দু’টি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ ও সময় জানা যাবে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই সফিউদ্দিন এবং তার প্রথম স্ত্রী সাদেয়া পলাতক। তাদের খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ