চাল দিয়ে কী সংসার চলবে?- উত্তরের আশায় জনমজুর রিক্সাচালকরা।

বিমল মন্ডল

    সংবাদ সৌজন্যে: বার্তা সাম্প্রতিক
    http://bartasamprotik.blogspot.com/

    আচমকা  করোনা পরিস্থিতিতে  সারা দেশ লকডাউনের  ফলে  অসংখ্য  মানুষের  করুন  দুর্দশার ছবি ধরা পড়েছে। এই লকডাউনের  ফলে সাধারণ  মানুষ  তথা জনমজুরী কিংবা  রিক্সা চালক কিংবা  টোটো  চালিয়ে  যারা রোজ সংসার সামলায়  তারা আজ বিপাকে।রাজ্য সরকার  কিংবা  কেন্দ্রীয়  সরকার  দুঃস্থ মানুষের  পাশে দাঁড়ানোর  কথা দিয়েছিলেন । তাই তাঁরা  কথা মতো বিনে পয়সায় চাল মাথাপিছু  ৫কিলো গম ২ কিলো করে দিচ্ছে। আবার রেশন কার্ড অনুযায়ী কম টাকা দিয়ে চাল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু  সমস্যা  হচ্ছে  এই চাল আর গম দিয়ে কী সংসার  চলে  যাবে?  এই প্রশ্ন  পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোর প্রতিটি  টোটো  চালক , রিক্সা  চালক , জনমজুরী তথা খেটে খাওয়া  মানুষদের । তাদের চোখে  আতঙ্ক ।

    এই শ্রেণির  মানুষে মধ্যে  বলতে শোনা যাচ্ছে যে, শুধু  চাল, ডালে কি সংসার চলবে? বাড়িতে  কতগুলো  পেট চাল ছাড়া মশলাদি , সবজি, মাছ এগুলো তো প্রাত্যহিক জীবনে  দরকার। তাহলে কাজ না করলে শুধু  কি চাল ফুটিয়ে  খাবো? এমনই  কষ্টের  কথা শোনা যায়।

    আবার কেউ কেউ ছেলে  মেয়েদের  পড়াশোনার  খরচ মেটাতে  পারছে  না । সমস্ত বন্ধের ফলে ।যারা টোটো  চালায় কিংবা  রিক্সা । তারা এখন  যাত্রী  না নিয়ে গেলেও মাঝে মাঝে  কিছু মাল নিয়ে রাস্তায় বেরোলে পুলিশ  তা আটকে  দেয়। কিংবা  নামিয়ে দিয়ে শাসায় । তাতে দুএক জনের মধ্যে  বিদ্রোহের  সুর  দেখা যায়। তারা বলে ‘ আমরা খাবো কি?  আমার কাজ না থাকলে সংসার চলবে কেমন করে?পুলিশের  তখন  বক্তব্য  হয় ‘ সরকার  তো বিনে পয়সায়  চাল  দিচ্ছে তাহলে অভাব কোথায়? সাথে সাথে  উত্তরে বলে ‘ শুধু  চালে কি সংসার চলে?  আপনাদের চলে? এদের মধ্যে  তীব্র  আক্রোশ ও ধরা পটে রাজনীতি  নেতা থেকে পুলিশ  প্রশাসন  পর্যন্ত।

    লকডাউন  তো চলছে। নেতাদের মধ্যে  তরজাও চলছে। রাজনীতির তামাশা চলছে। তার মধ্যে  এই শ্রেণির  মানুষেরা  ছটপট করতে করতে  মারা যাচ্ছে।পত্র পত্রিকায় , টিভির পর্দায়  সরকারিভাবে চাল গমের ঘোষণা  কিন্তু  এছাড়া  যে জীবনে  আরও  কিছু  দরকার  তার হদিস  সরকার  দিতে পারেনি।’ এই লকডাউন  বড়োলোকদের জন্য’ – আসলে গরীবদের জন্য কিছুই  নেই। তার কেউ কেউ বলেন , ‘আমাদের মতো  পরিযায়ী  শ্রমিকরা কষ্ট  করে বাইরে  পড়ে আছে তাদের জন্য শুধু  ফিরে আসার  ঘোষণা  হয়কিন্তু  প্রকৃত পক্ষে  কতজন  মারা যাচ্ছে, কতজন  ফিরছে তার খবর  সরকার  দিতে পারেনি । তাদের চোখে মুখে  অনিশ্চিত  ভবিষ্যতের ছবি।সংসার অনাহারে ।সবমিলিয়ে  এই মানুষগুলো  দিশাহারাতাদের তীব্র  উচ্চারণ  ” আমাদের বাঁচতে দিন। আমরাও  বাঁচতে  চাই।দয়াতে নয়, নিজেই পরিশ্রম  করে”তাই মাননীয়  সরকারের  কাছে আবেদন  যে, শুধু  বিনে পয়সায়  চাল  ও  গম দিলে চলে না তার সাথে অন্যান্য  সামগ্রিক  প্রয়োজন । তার জন্য আমাদের কাজ করতে  দিন। “এমনই ছবি জেলার  প্রতি  প্রান্তে  প্রান্তে ।