|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :হাতে আর তিন দিন বাকি। প্রচারে আর খামতি রাখতে চান না। প্রথম পর্বে মিটিং মিছিল হলেও এখন চলছে বাড়ি বাড়ি প্রচার, তৃণমূলকে কেন ভোট দেয়া হবে তার লিফলেট বিলি। সেইসঙ্গে চাটাই বৈঠক। মানুষকে বোঝাচ্ছেন কেন তৃণমূলকে ভোট দিবেন। তিনি হলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের গড়বেতা১ নম্বর ব্লকের ৪৯ নম্বর আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শান্তনু দে। পশ্চিম মেদিনীপুর গড়বেতা ব্লকের এই এলাকা বাম আমলে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর ছিল।গুলি, বোমা, সন্ত্রাস, খুন আর শাসন একসময় ছিল সমার্থক। ৷ আর এসবের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সুশান্ত ঘোষ ৷ রাজ্যে পালাবদল হয়েছে ২০১১ সালে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর থেকে শাসনে ফিরেছে গণতন্ত্র। এমনই দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তার আরো পরিচয় হলো তিনি পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলার চেয়ারম্যান। রাজনীতির ময়দানে পুরোনো হলেও ভোটের ময়দানে এই প্রথম এই জন্য তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিকে।
শান্তনু’র ছাত্র রাজনীতিতে হাতে খড়ি। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ছাত্র পরিষদের মেদিনীপুর মহকুমার সম্পাদক। তৃনমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার TMCP-র জেলা কোর কমিটির নেতৃত্ব। পরবর্তীতে গড়বেতা- ১ নং ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের ব্লক কোর কমিটির নেতৃত্বে আসেন। পরবর্তীতে ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে মেদিনীপুর সাংগঠনিক তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য। তিনি পেশায় একজন প্রাথমিক শিক্ষক এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা চেয়ারম্যান।এবার ভোটের ময়দানে নেমেই তিনি মানুষের মন জয় করতে মারিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিনি এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রচারে ঝড় তুলছেন। শান্তনু দে বলেন, জয় একশো শতাংশ নিশ্চিত হলেও এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ করার জন্য আমরা প্রচার চালাচ্ছি। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে আসার পর রাস্তাঘাট পানীয় জল সহ সার্বিক উন্নতি হয়েছে কিন্তু মানুষের চাহিদার অন্ত নাই। তাই আমরা আরো মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করার চেষ্টা করব বলে জানালেন।তিনি তুলে ধরছেন তৃণমূল সরকারের ১২ বছর ধরে চালু হওয়া কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ ৬৭ টি প্রকল্পের কথা। পাশাপাশি কেউ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন নাকি তাও জেনে নিচ্ছেন। একই সঙ্গে শান্তনুর প্রতিশ্রুতি নির্বাচিত হলে উপযুক্ত যোগ্যদের সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পাইয়ে দেবেন তিনি। যদিও স্থানীয় মানুষরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই শাসনে গণতন্ত্র ফিরেছে। এখন এখানে বোমা, গুলির আওয়াজ নেই। নির্বিঘ্নে দিনযাপন করতে পারি সকলে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আমরা কাউকেই ভাবতেই পারি না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা থাকলেও পঞ্চায়েত ভোটে তার কোন প্রভাব নেই বলে তিনি জানালেন।
শান্তনু দে প্রচারে গিয়ে ভোটারদের থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ব্যাপারে অভিযোগ শুনতে হলেও মাস্টারমশাইয়ের ঢঙে তিনি সাধারণ মানুষকে ব্যাপারগুলো বোঝাচ্ছেন এবং বাম আমলে চিরকুটে কিভাবে নিয়োগ হচ্ছে তাও তিনি তুলে আনছেন। তবে শান্তনু দের সবচেয়ে বেশি প্লাস পয়েন্ট হল শিক্ষক মহাশয়রা কোমর বেঁধে তাকে জেতানোর জন্য নেমেছে।
রাজনীতির ময়দানে শান্তনুর বড় হাতিয়ার রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প ও তার স্বচ্ছ ইমেজ। তবে শেষ পর্যন্ত গণদেবতারা কাকে সিংহাসনে বসাবেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ফলাফলের দিন পর্যন্ত!