|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৭ই আগস্ট, বিকাল ৪টে। স্থানীয় কড়েয়া রোড এলাকার বাসিন্দা আশিয়া আলি উপস্থিত হন কড়েয়া থানায়। বিধ্বস্ত চেহারা, চোখেমুখে উৎকণ্ঠার ছাপ স্পষ্ট মহিলার। ডিউটি অফিসারকে জানান বেলা ১২ টা থেকে তাঁর ১৬ বছর বয়সী নাবালক ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না। আশেপাশের এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজেও বিফল তিনি। আতঙ্কিত আশিয়া আরো জানান তাঁর সন্তান তৌসিফ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, রয়েছে ডাউন সিনড্রোমও। সকাল থেকে বাড়িতেই ছিল তৌসিফ, কিন্তু কিভাবে উধাও হল তা ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না হতচকিত আশিয়া।
খবরের গুরুত্ব অনুভব করতে দেরি হয়নি কড়েয়া থানার পুলিশের। চূড়ান্ত তৎপরতায় নিখোঁজ বালকের সন্ধানে অভিযানে নেমে পড়ে কড়েয়া থানার বিশেষ টিম। থানার দক্ষ দুই সাব ইন্সপেক্টর সুব্রত ধর এবং মৌসুমী বিশ্বাসের নেতৃত্বে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় গোটা এলাকা জুড়ে। নিয়োগ করা হয় বিশ্বস্ত সোর্সদেরও। সাফল্য মেলে অচিরেই, সন্ধে ৬টা নাগাদ তিলজলা রোড এবং দিলখুশা স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় তৌসিফকে। না, কোনরকম বিপদ ঘটেনি তার। আঘাতও লাগেনি শরীরের কোথাও। সুস্থ ও অক্ষত শরীরেই উদ্ধার হয় তৌসিফ। স্বস্তি ফেরে কড়েয়া থানার অন্দরে এবং তৌসিফের উৎকণ্ঠিত বাবা মায়ের অন্তরে।
নিরাপদে তৌসিফকে পৌঁছে দেওয়া হয় তার মায়ের কোলে। হাসি ফোটে উৎকন্ঠিত বাবা মায়ের মুখে।
কড়েয়া থানার পুলিশের অভূতপূর্ব সক্রিয়তায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নিখোঁজ বালকের উদ্ধার করার এই প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়।