রক্ত না পরীক্ষা করে পাঠানোর জন্য সুরাটের শ্রমিক ট্রেন বাতিল করল উড়িষ্যা সরকার।

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় কলকাতা

    সংবাদ সৌজন্যে: বার্তা সাম্প্রতিক
    http://bartasamprotik.blogspot.com

    পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি দায়বদ্ধতা কি থাকবে না সরকারের? গুজরাট সরকারের ভূমিকায় এই প্রশ্নই তুলে দিল উড়িষ্যা সরকার। এবং সেটাই যেখানে সেখানে না একেবারে আদালতে। কারণ তারা রক্ত পরীক্ষা না করেই ট্রেনে করে  শ্রমিকদের পাঠিয়ে দিচ্ছিল।শুধু এই কারণে

    সুরাট থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসার তিনটি ট্রেন বাতিল করে দিল উড়িষ্যা সরকার। উড়িষ্যা সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য,যারা আসবে তাদের রক্ত পরীক্ষা করে যদি দেখা যায় তারা করোনা নেগেটিভ তবেই তাদেরকে আসতে দেওয়া হবে।যে তিনটি গাড়িতে করে শ্রমিকরা আসছিল সেখানে রক্ত পরীক্ষা করে তাদের টিকিট কাটা হয় নি। তারা করোনা নেগেটিভ কিনা তার রিপোর্ট কারুর কাছে ছিল না। তাই সে রকম কোনো পরিযায়ী শ্রমিককে রাজ্যে ঢুকতে  তারা অনুমতি দিতে চায়না।

    এই মর্মে হাইকোর্টে আবেদন করে উড়িষ্যা সরকার। হাইকোর্ট তাতে সম্মতি দেয়। তারপরেই সুরাট থেকে ,তিনটি ট্রেনে আসা বাতিল হয়ে যায়। যাদের আসার কথা ছিল তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। হাটা শুরু করে দেয় সেখান থেকে বাড়ি ফিরবে বলে। পথিমধ্যে সাংঘাতিক জটিলতা সৃষ্টি হয়।স্থানীয় প্রশাসন কোনমতে বুঝিয়ে তাদেরকে আবার যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল সেখানে  ফিরিয়েছে।এরপর সুরাটের প্রশাসন রেল কোম্পানির কাছ থেকে  টিকিটের টাকা ফেরত চায়।

    এখানে সঙ্গতভাবেই কয়েকটি প্রশ্ন ওঠে। টিকিট কাটার আগেই তো রক্ত পরীক্ষা করে দেখা উচিত ছিল। কাদের জন্য টিকিট কাটা হবে। সেটা তো ঠিক করে টিকিট কাটা উচিত ছিল। রক্ত পরীক্ষা না করে আসা যাবে না একথা উড়িষ্যা সরকার আগের থেকে বারবার বলে দিয়েছ। গত শুক্রবার পর্যন্ত সুরাট থেকে 18 টি শ্রমিক স্পেশাল এক্সপ্রেস উড়িষ্যায় এসেছে। প্রতিটিতে বারোশো শ্রমিককে নিয়ে এসেছে। এরপর অভিযোগ আসে যে রক্ত পরীক্ষা না করেই গুজরাট থেকে শ্রমিকদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য যে আগেই ঠিক ছিল শ্রমিকদের পাঠিয়ে দেওয়ার আগে রক্ত পরীক্ষা করা হবে তারা যে রাজ্যে আছে সেই রাজ্যের দায়িত্বে সেটা করা হবে ।এরপর যে রাজ্যে তারা ঢুকবে তারাও দেখে নেবে আর ও

    একবার। কিন্তু গুজরাট সরকার সেটা করছিল না। তাতেই এই  সমস্যা তৈরি হয় এবং পরপর তিনটি উড়িষ্যা ট্রেন বাতিল হয়।

    উড়িষ্যা, গত বৃহস্পতিবার লকডাউন এরমধ্যে শত শত পরিযায়ী শ্রমিক পথে নেমে এসেছিলেন প্রতিবাদ করতে কারণ  উড়িষ্যা সরকার তিনটি শ্রমিক ট্রেন বাতিল করে দিয়েছিল যেগুলো সুরাট থেকে আসছিল.. করনা ভাইরাসের কারণে পূর্বের রাজ্য থেকে সুরাটে কাজ করতে যাওয়া প্রায় হাজার লোক  কর্মহীন হয়ে পড়েন এবং এই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সুরাট থেকে তিনটি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয় কোর্টের আদেশ অনুসারে সুরাটের কালেক্টর  ধাবাল প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন শ্রমিক স্পেশাল তিনটি ট্রেন যেগুলি8 মে ছাড়ার   স্থির ছিল সেগুলি বৃহস্পতিবার4 মে উড়িষ্যা হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে বাতিল করে দেওয়া হয় আদেশ অনুসারে বলা হয় যাদের করোনাভাইরাস রিপোর্ট নেগেটিভ একমাত্র তারাই উঠতে পারবেন তিনি আরো বলেন জেলাশাসক রেলের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছ থেকে টিকিট মূল্য ফেরত চেয়েছে.