নাগরিকত্ব বিল সংশোধনী আইন বাতিলে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের

নতুন গতি প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল মাওলানা সৈয়দ মাহমুদ মাদানির নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। এ ব্যাপারে জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ মাদানি বলেছেন, চূড়ান্ত এনআরসিতে সাত লক্ষ হিন্দু ও মুসলিমদের নাম বাদ যাওয়ায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অসমে ধর্মীয় বৈষম্যকে আরও প্রকট করে তুলবে। তাই সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছে যাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অবিলম্বে বাতিল করা হয়।

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের হয়ে এই আর্জি পেশ করেছেন আইনজীবী সৈয়দ শাকিল আহমেদ। সুপ্রিম কোর্টে জমিয়তের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বছরের ৩১ অগস্ট অসমে যে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হয়েছিল তাতে বহু হিন্দু শরণার্থী বাদ পড়েছেন। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ৬বি ধারায় তারা নাগরিকত্বের সুবিধা উপলব্ধ করতে পারবেন। হিন্দু শরণার্থীদের সঙ্গে মুসলিম শরণার্থীরা একই পংক্তিতে থাকলেও মুসলিমদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। এটা বড় অবিচার ও বৈষম্য ছাড়া কিছু নয়।

    সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা প্রসঙ্গে জমিয়তের পক্ষে এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনআরসিতে মানুষের বহু প্রকৃত নথি থাকা সত্ত্বেও তাদের নাম বাদ গিয়েছে। বিভিন্ন তথ্যে বয়স কিংবা নামের সামান্য বানান ভুল থাকায় এনআরসি থেকে নাম বাদ গেছে। সেটা ঢাকতে গিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনা হয়েছে। কিন্তু মুসলিমদেরকে ব্রাত্য করা হয়েছে।

    রিট পিটিশনে সেই অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সিদের শরণার্থী হিসেবে মান্যতা দিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও মুসলিমদের প্রতি কোনও দয়া দেখানো হয়নি। শুধু ধর্মীয় কারণেই তা হয়েছে। অথচ, সংবিধানের ১৪ ধারায় ধর্মীয় সাম্যতা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে মুসলিমরা শরণার্থীরাও যাতে সুবিধা পায় তার দাবি যেমন রাখা হয়েছে, তেমনি মুসলিমদেরকে ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হতে হলে সংবিদানের উল্লংঘন হওয়ায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে জমিয়তের তরফ থেকে।