ভিন রাজ্য থেকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ফিরল প্রচুর শ্রমিক, হোম কোয়ারেন্টাইনের সরকারি নির্দেশ।

নতুন গতি নিউজডেস্ক: রাজস্থান থেকে ফিরেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকারই প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক ও তাদের পরিবার। এরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের গ্রামে ফিরছে সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার পর। কিন্তু গ্রামে ফিরতেই এদের নিয়ে গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কারণ এরা সরকারের নির্দেশিকা অমান্য করে গ্রামের যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সসিংয়ের নির্দেশ মানছেন না। এতে গ্রামের লোকেরা সংক্রমনের ভয় ছড়িয়েছে|

    হরিশ্চন্দ্রপুর এর প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন জানান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় ২২৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক ও তার পরিবার আজ সকালে আজমীর শরীফ থেকে এসে পৌঁছায়। ডানকুনি পর্যন্ত এরা ট্রেনের মাধ্যমে এসেছে। সেখান থেকে সরকারি বাসে আজ হরিশ্চন্দ্রপুর এ পৌঁছানো হলো। বাড়ির লোকেরা যার জন্য চিন্তায় ছিল। স্বাস্থ্য দপ্তরের কড়া নজরদারিতে এরা আজ থেকে হোম কোয়ারান্টিনে থাকবে। এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতি নিয়ত এ ব্যাপারে নজরদারি চালাবে।

    স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন বাইরে থেকে আসা মানুষেরা গ্রামে ফিরে যাতে হোম কোয়ারান্টিন এর নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করে স্থানীয় প্রশাসনের সেদিকে কঠোরভাবে নজর দেওয়া উচিত। আর এদের টেস্টের পর ব্যাপারটিও অত্যন্ত সতর্কভাবে প্রশাসনকে করা উচিত।
    স্থানীয় বিজেপি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ মন্ডল সভাপতি রুপেশ আগারওয়াল জানান যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে থেকে আসছেন তারা কি হোম কোয়ারেন্টিন কথার অর্থ বুঝে। তারা কি আদৌ ঘরবন্দি হয়ে থাকবে। এটা একটা বিশাল সমস্যা। সমাজের শিক্ষিত লোকের একাংশ কোয়ারেন্টিন মানছে না। আমি রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করবো অবিলম্বে আবার সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টার এর ব্যবস্থা করা হোক এবং বাইরে থেকে যারা আসছে তাদের সেখানে থাকারই বন্দোবস্ত করা হোক। না হলে লোকজনের কোনো অর্থই থাকবে না। এরপরে হরিশ্চন্দ্রপুর মালদা জেলা বিভিন্ন গ্রামে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করবে।

    আজমীর থেকে ফেরা এক শ্রমিক মিনহাজ ইসলাম জানালেন আমরা আজমীর শরীফ হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার প্রচুর বাসিন্দা বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে আমরা বাড়ি ফিরতে পেরেছি। আমাদের পরীক্ষা মালদাতে হয়েছে এখানেও স্থানীয়ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলো।
    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল জানালেন আজ প্রায় দুই শতাধিক ওপর পরিযায়ী শ্রমিক হরিশ্চন্দ্রপুর এ এসে পৌঁছেছে আজমীর শরীফ থেকে আজকে এদের থার্মাল স্ক্রীনিং হলো আমরা শুনেছি মালদাতে এনাদের একবার স্ক্রীনিং হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এদেরকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন এ রাখা হবে এবং টাস্কফোর্স এর মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।


    হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান বাইরে থেকে আসা শ্রমিকরা যাতে নিজের নিজের এলাকায় সরকারি নির্দেশ মোতাবেক হোম কোয়ারেন্টিন এর নির্দেশ মেনে চলে সেজন্য আমরা ফোর্স মোতায়েন করছি বিভিন্ন গ্রামে। ইতিমধ্যে এদের স্ক্রীনিং হয়েছে। এরা যাতে সরকারি নির্দেশিকা পালন করে সে ব্যাপারে প্রশাসনের কড়া নজর থাকবে।