মেদিনীপুরের সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টারের দশম বর্ষপূর্তি উৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর…… অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টারের দশম বর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপিত হলো বৃহস্পতিবার। সমবেত অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

    মেদিনীপুর শহরের নান্নুর চকে অবস্থিত জ্যাক পাল রেসিডেন্সিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান সংস্থার দুই কর্ণাধার বিশিষ্ট স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ কাঞ্চন ধাড়া ও বিশিষ্ট নবজাতক ও ভ্রুণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ সন্ধ্যা ধাড়া মন্ডল।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ শ্রীমন্ত সাহা, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ গৌর মন্ডল, উদ্যোগপতি উদয় রঞ্জন পাল,কেশপুর কলেজের অধ্যাপক ড. শান্তনু পাণ্ডা, সব্যসাচী পত্রিকার সম্পাদক নিশীথ কুমার দাস, জ্বলদর্চি পত্রিকার সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠী, সমাজকর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া,সমাজসেবী পারমিতা সাউ, সময় বাংলার কর্ণাধার জয়ন্ত মন্ডল, শিক্ষক মণিরাজ ঘোষ, সমাজসেবী অনাদি সাঁতরা প্রমুখ।সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টার হলো অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় প্রথম ফার্টিলিটি সেন্টার যেখানে প্রথম আইভিএফ শুরু করা হয় সফল ভাবে।

    ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর এই সেন্টারের সূচনা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত টানা দশবছর নিরলস ভাবে এই পরিষেবা চালু রেখেছে স্বনামধন্য দুই চিকিৎসক তথা ডাঃ কাঞ্চনকুমার ধাড়া ও ডাঃ সন্ধ্যা মণ্ডলের সুযোগ্য নেতৃত্বে ।মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে অবস্থিত সিমবায়োসিস সেন্টারে একই ছাদের নীচে মা, শিশু ও বন্ধ্যাত্বের আধুনিক চিকিৎসা করা হয়।এই সেন্টারে আইভিএফ মাধ্যমে ২০০-র বেশি মা সুস্থ সন্তান প্রসব করে বাড়ি ফিরেছেন। আই ইউ আই মধ্যে ১৫০০-র বেশি মা সন্তান ধারণে সক্ষম হয়েছেন। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সিমবায়োসিসের কাজের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে সিমবায়োসিসের যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ,স্ব্যাস্থকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং এই সেন্টার থেকে উপকৃত দম্পতিরা তাদের সন্তান সহ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ডাঃ কাঞ্চন ধাড়া ও ডাঃ সন্ধ্যা মন্ডল ধাড়া। অনুষ্ঠানটি সুচারু ভাবে সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী পায়েল সামন্ত।