এস বি আই দিচ্ছে ঋণ ২ থেকে ৫ লাখ! ৬ মাস দিতে হবে না কিস্তি।বাড়ি থেকে শুধু একটা মেসেজ।

সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে  যখন    করোনার অতিমারি। তাতে লক্ষ লক্ষ  মানুষের প্রাণহানি এবং  বহু  মানুষ আক্রান্ত। তার জেরে লকডাউন । আর লকডাউন মানেই সাধারণ  মানুষ বা  মধ্যবিত্ত  সম্প্রদায়ের  অভাব। আর সেই অভাব থেকেই   দুর্ভিক্ষ ।

    এর প্রভাব  আমাদের দেশেও  পড়তে চলেছে। আবার এই লকডাউনের  ফলে  সমস্ত ব্যাঙ্কে উদ্বৃত্ত টাকা এতো হয়ে যাচ্ছে  যে ঋণ দেওয়ার  জায়গা  নেই। কারণ  এই লকডাউনের  ফলে কেউ নিতে আসছে না। আবার বড়ো বড়ো  শিল্পপতির পক্ষ  থেকে  ঋণ নিতে চাইলেও  তাঁদের  দেওয়া  হচ্ছে না। ফলে  ব্যাঙ্কে এতো বেশি  ঋণ খেলাতী সংখ্যা  বেশ বেড়ে যাচ্ছে । এদিকে ছোটো  ছোটো  যে সব সংস্থা  বা ব্যাক্তি  যাঁরা  ঋণ নিয়ে ছিলেন তাঁদের  আর পাওয়া  যাচ্ছে না। এমতাবস্থায়  সমস্ত  ব্যাঙ্ক রিজার্ভ  ব্যাঙ্কের কাছে তাঁদের গুচ্ছিত টাকা রাখার কথা ভাবছে। কিন্তু  এদিকে  রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চাইছে  উল্টো । তাঁরা  চায় এই গুচ্ছিত টাকা গুচ্ছিত না রেখে সাধারণ  মানুষের  কাছে পৌঁছে দেওয়া  হোক।  এই অসময়ে তাদের বিভিন্ন  কাজে লাগবে। যেমন-

    ১.ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী  যাঁরা, তাঁরা যাতে  নতুন করে এই টাকা দিয়ে উৎপাদন  করতে  পারে। সেই দিকে নজর  দেওয়া ।

    ২.অনেক ছোটো  ছোটো  ব্যাবসায়ী আছে, যাঁরা  দীর্ঘ  লকডাউনের  ফলে  বাড়িতে  বসে আছে।কাঁচা মাল কেনার টাকা পাচ্ছে না। তাদের সাহায্যে লাগতে পারে ।  এদিকে  কোনো  ব্যাঙ্ক  সাহস  পাচ্ছে না কারণ  এই সময়ে টাকা দেওয়ার  পর যদি ফেরত  না আসে সেই চিন্তায় তাঁরা  রিজার্ভ ব্যাঙ্কের  কাছে গুচ্ছিত টাকার সিদ্ধান্ত  নেন।

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক  চাইছে সাধারণ  মানুষ  টাকা পাক। তাই রেট অফ ইন্টারেস্ট কমিয়ে সুদের হার কমিয়ে  দিয়েছে । যাতে ব্যাঙ্কগুলি টাকা রাখলে অনেক কম সুদ পাবে, যেখানে  একই টাকা  বাজারে খাটালে অনেক বেশি সুদ পাওয়া  যেত। তবুও  সমস্ত  ব্যাঙ্ক বাজারে  টাকা না খাটিয়ে রিজার্ভ  ব্যাঙ্কের  কাছে  টাকা রাখতে  রাজি  হয়েছে। তার একটাই কারণ   সেভ থাকা। এখানে  টাকা থাকলে অনেক  বেশি  নিরাপত্তা  পাওয়া  যাবে। টাকা সময় মতো  পাওয়া  যাবে।

    এমনই  অবস্থায় স্টেট ব্যাঙ্ক সাধারণ  মানুষের  কাছে  একটা  দারুণ  সুযোগ  এনেছেন। এই লকডাউনের মধ্যে  ঘরে থেকে  সহজেই  লোন মিলবে মাত্র ৪৫ মিনিটের  মধ্যে । এর জন্য কোথাও  বেরোতে হবে না। কোন কাগজ  জমা  করতে  হবে না। তাতেই  আপনার  লোন মিলবে। আবার এই লোন নিলে ৬ মাস আপনাকে কোনো  রকম কিস্তি  দিতে হবে না। কিস্তি  দেওয়া  শুরু করে  হবে ৬ মাসের পরের থেকে।। স্টেট ব্যাঙ্কের বক্তব্য সাধারণ  গরীব  মানুষ  কিংবা  সাধারণত  মধ্যবিত্তের কথা ভেবে  এই চমক। এই চমক এর আগে কখনো  দেখানো হয় নি বা সাহস আসে নি। যা আজ এই লকডাউনের  সময়ে আনা হয়েছে । এর জন্য আপনাকে  বাড়ি থেকে  বেরোতে হবে না। আপনার  যে কোনো  প্রয়োজনে, যে কোনো  সময়ে আপনি চাইলে এই লোন পেতে পারেন। তাই এই লোনকে বলা হয় এমারজেন্সি  লোন । রেট অফ  ইন্টারেস্ট  এখানে  খুব বেশি নয়। মাত্র ১০.৫℅ হারে।

    এই লোন সবাই পেতে পারে। পার্শোনেল ক্যাটাগরিতে  ২ লক্ষ , পেনশন ভোগীরা আড়াই লক্ষ  পর্যন্ত  লোন পেতে পারে। আর সার্ভিস  ক্লাসের মধ্যে যাঁরা  পড়ছে  না, তাঁরা পে স্লিপ  দেখিয়ে যাঁরা  লোন নেন। তাঁরা ও এই লোন পাবেন সেইভাবে  পুরনো  ঋণ দেখিয়ে । তাঁরাও ৫ লক্ষ  পর্যন্ত  এই লোন পেতে পারেন।

    সংবাদ সজন্যে :বার্তা সাম্প্রতিক

    http://bartasamprotik.blogspot.com/2020/05/blog-post_18.html