|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কোনও মানুষের সামাজিক পরিচয়, যোগ্যতা দিয়ে কখনও তাঁর স্বভাব বোঝা যায় না। অপরাধীকে চিহ্নিত করার সময় ব্যক্তির অন্য কোনও পরিচয় দেখে বিচার করলে প্রায়শই ভুল হতে পারে। আপাতভাবে অত্যন্ত ভালো মানুষও করতে পারে জঘন্য অপরাধ। ঠিক যেমনটা করেছেন এক প্রাণীবিজ্ঞানী (zoologist Adam Briton)। পিএইচডি ডিগ্রি সহ নামী-দামি সংস্থায় কর্মরত ওই ব্যক্তি অসংখ্য কুকুরকে ধর্ষণ (Dog rape) করেছেন। পৈশাচিক এই অত্যাচারের বিষয়ে নিজেই আদালতে স্বীকার করেছেন তিনি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
অস্ট্রিলিয়ায় ব্রিটিশ প্রাণীবিজ্ঞানী, বিবিসি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফির ওই কুমির বিশেষজ্ঞের নাম অ্যাডাম ব্রিটোন (zoologist Adam Briton)। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা শুনানির জন্য ওঠে আদালতে। আর আদালতকক্ষেই ব্রিটোন তাঁর কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন। জানা গিয়েছে, প্রাণীবিজ্ঞানী বলে পরিচিত হওয়ায় অনেকেই ব্রিটোনের কাছে পোষ্যকে রেখে বেড়াতে কিংবা প্রবাসে কর্মস্থল যেতেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই সারমেয়দের ধর্ষণ করতেন তিনি। নিরীহ প্রাণীদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যেতেন অত্যাচার। এখানেই শেষ নয়, সমগ্র কর্মকাণ্ডের ভিডিয়ো তুলে রাখতেন তিনি।কেনই বা এমন বিকৃত অত্যাচার করতেন বিজ্ঞানী? সরকারি আইনজীবীর দাবি, ব্রিটোন একজন ধর্ষকামী। বিকৃত কাম চরিতার্থতার জন্য তিনি একটি বড় জাহাজের কন্টেনার ব্যবহার করতেন। যার নাম দিয়েছিলেন ‘যন্ত্রণা ঘর’। সেখানেই দিনের পর দিন কুকুরদের ধর্ষণ (Dog rape) করে খুন করতেন প্রাণীবিজ্ঞানী। পৈশাচিক কাণ্ডের ভিডিও তুলে রাখতেন তিনি। এমন অসুস্থ মানষিকতার বর্ণনা যে সকলে মেনে নিতে পারবেন না তা আন্দাজ করেই মামলাটি চলাকালীন কোর্ট রুম খালি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
২০১৪ সাল থেকে এই কুকীর্তি চালাচ্ছিলেন ব্রিটোন। প্রায় ৪২টি কুকুরের দেখভাল করতেন তিনি। অভিযুক্তের যৌন হেনস্থার কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩৯টি কুকুরের। অ্যাডামের বিরুদ্ধে যে ৬০টি অভিযোগ রয়েছে তার মধ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশুদের উপর নির্যাতনের সামগ্রী সংগ্রহের মত অপরাধও রয়েছে। বিরল এই অপরাধে অভিযুক্তকে নজিরবিহীন শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে ব্রিটোনের সাজা ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।