পুষ্পা দ্য রাইস সিনেমায় যেভাবে চন্দন কাঠ পাচার করা হতো ঠিক সেইভাবেই পাচার হচ্ছিল ৪৫০০ বোতল কাশির সিরাফ

নিজস্ব প্রতিবেদক:- পুষ্পা দ্য রাইস(Pushpa the Rise) সিনেমায় যেভাবে চন্দন কাঠ পাচার করা হতো ঠিক সেইভাবেই পাচার হচ্ছিল ৪৫০০ বোতল কাশির সিরাফ। তবে পাচারকারীদের সেই ছক ভেস্তে দিতে সক্ষম হল বীরভূম পুলিশ। বীরভূম পুলিশের তরফ থেকে পাচারকারীদের এই ছক ভেস্তে দেওয়ার জন্য পাঁচটি টিম গঠন করা হয়। সিউড়ি থানার দুটি টিম ছাড়াও এই পাচার রুখে দেওয়ার জন্য একটি করে টিম তৈরি করা হয় সদাইপুর, দুবারজপুর এবং মহঃবাজার থানার পুলিশকে নিয়ে। সেই সকল পুলিশকর্মীদের প্রয়াসে পাচারকারীদের এই ছক ব্যর্থ হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মালবাহী পিকআপ ভ্যানে দুজন পাচারকারী আলুর বস্তার নিচে এই বিপুলসংখ্যক কাশির সিরাফ(caugh syrup) সাজিয়ে পাচার করছিলেন। তারা উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে এরাজ্যে ঢোকে। তবে বীরভূমে ঢোকার পর আর শেষরক্ষা হয়নি,দুস্কৃতীরা ধরা পড়ে যায় বীরভূম পুলিশের হাতে।শনিবার এই পাচারকারীদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় তিলপাড়া জলাধারের কাছে। যদিও দুজন পাচারকারীর মধ্যে একজন সুযোগ বুঝে পুলিশের হাতে আসার আগেই চম্পট দেয়। তবে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।গ্রেপ্তার হওয়া পাচারকারীর নাম হাফিউর রহমান। ধৃত ব্যাক্তি মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া এই পাচারকারীকে রবিবার সিউড়ি জেলা আদালতে(suri court) তোলা হয়। বিচারক তাকে এক দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও পুলিশের তরফ থেকে তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাত দিনের পুলিশি হেফাজত(police custody) চাওয়া হয়েছিলো। সোমবার তাকে পুনরায় আদালতে তোলা হবে।অন্যদিকে এই বিপুল পরিমাণ কাশির সিরাফ কোথায় পাচার করা হচ্ছিলো অথবা কোথা থেকে আনা হচ্ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে এই বিপুল পরিমাণ কাশির সিরাফের আনুমানিক বাজার দর প্রায় ১০ লাখ টাকা(rupees ten lakh)।