কেন্দ্র আরামবাগঃ আগামীকালের ভোটে জয়ের ব্যাপারে চার দলের প্রার্থীই আশাবাদী

জাকির হোসেন সেখ, ৫ মে, নতুন গতি: পঞ্চম দফায় আগামীকাল ভোট রাজ্যের ৭টা আসনে। বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, আর হুগলির সাথে ভোট হবে আরামবাগ কেন্দ্রে।
এই কেন্দ্রে তৃনমূল কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এবং জাতীয় কংগ্রেসের মত ৪টে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, মুলত লড়াই হবে কিন্তু তৃনমূল বনাম সিপিএমের মধ্যে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যদিও জেতার ব্যাপারে বাকি দুটো দল‌ অর্থাৎ কংগ্রেস এবং বিজেপিও আশা ব্যক্ত করেছে।
তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে চতুর্মুখী লড়াইয়ে তৃনমূল প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, সিপিআইএম প্রার্থী ২০০৯ সালে জয়ী প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিক, কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সমাজসেবী জ্যোতি দাস, এবং বিজেপি প্রার্থী তপন কুমার রায়।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাটাবিরোধী আন্দোলনের ভিত্তিভুমি ‘সিঙ্গুর’ হুগলি জেলার আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের লাগোয়া বলেও এই আসনটি সবার নজরে রয়েছে। তাছাড়া
    এই কেন্দ্রের অন্তর্গত রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থভূমি তারকেশ্বর‌ও।
    আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ছিল সিপিএমের দখলে। সেবার জিতেছিলেন সিপিএমের শক্তিমোহন মালিক। যিনি এবারেও প্রার্থী হয়েছেন সিপিএম দলের। ২০১৪ সালে তিনি তৃণমূল প্রার্থী সমাজসেবী এবং রিষড়া পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপরূপা পোদ্দারের কাছে হেরে গিয়ে এবারেও তাঁর মুখোমুখি।
    বিজেপি প্রার্থী তপন কুমার রায়। পেশায় একজন শিক্ষক। আর কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সমাজসেবী শ্রীমতী জ্যোতি দাস।
    আগাগোড়া কংগ্রেস পরিবারের মেয়ে এই প্রথম লোকসভা ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন।
    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আরামবাগ কেন্দ্রে যত‌ই দ্বিমুখী লড়াই হোক না কেন, বিজেপিও এবার জোরদার লড়াই দেবে।

    তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার বলেন, “মমতা দিদির উন্নয়ন দেখেও এই রাজ্যে তবু যদি কেউ অন্য দলকে ভোট দেয়- তাহলে কিছু বলার নেই। তবে আমার বিশ্বাস দিদিকে দেখেই সবাই জোড়া ফুলে ভোট দেবেন।”
    জয়ের ব্যাপারে অবশ্য বাকি তিনটি দলের প্রার্থীরাও আশাবাদী। সবাই বলছেন তাঁর দল এবার জিতবে।
    তাই নজরে থাকা আরামবাগ কেন্দ্রে শেষ হাসিটা কে হাসবে, তার জন্য ২৩ মে দিনটার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই।